এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, দুই দল নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কারণে আওয়ামী লীগ ফেরার সুযোগ পাচ্ছে। একদিকে জামায়াতের ভাইয়েরা অন্যদিকে বিএনপির ভাইয়েরা। একজন আজকে কর্মসূচি দেয় আরেকজন কালকে কর্মসূচি দেয়।
তিনি বলেন, আমরা সংস্কার করতে না পারলে শেখ হাসিনার শাসনতান্ত্রিক কাঠামো বারবার ফিরে আসার চেষ্টা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কৃষক উইংয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা আমাদের জীবনকে কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না। কোনো পরিবারের কাছে জীবন বর্গা দিয়ে আমরা দাস হতে চাই না।
তিনি বলেন, গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাবো এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান জানাবো নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী না করে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচনে একদিনে দিলে এটি হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সরকারকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে অনেকে মব বলার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। গত এক বছরে গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখন স্তিমিত হয়ে যায়নি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি ছিল গণঅভ্যুত্থান এবং বিপ্লব। সরকারের উচিত ছিল জনগণের সামনে শপথ পাঠ করার। সরকার সেই জায়গায় ভুল করেছিল। এখন কথা হলো, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি কে দেবেন। নৈতিকতার জায়গা থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনলাইন থেকে বিভিন্ন জায়গায় ভীতি ছড়িয়েছে। গত ১৫ বছরের তাদের যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিল সেই টাকা ছড়িয়ে তারা ককটেল নিক্ষেপ করেছে, বাসে আগুন ধরিয়েছে। আওয়ামী লীগের যাদের ব্যবসা ছিল তারা গত ১৫ বছরে যে টাকা কামিয়েছে সে টাকা দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষিত হবে- এটা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য নতুন একটি মাইলফলক।