এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই খবরের পরই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছেন ছাত্র-জনতা। ছাত্রদের সেজদায় লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে একে একে অন্যরাও সেজদায় লুটিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রশংসা করেন।
সেজদায় পর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা। এ সময় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এরপর আবারও স্লোগানে স্লোগানে হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান ছাত্র-জনতা।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের খবরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উল্লাস শুরু হয়। আনন্দ মিছিল নিয়ে স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা।
এর আগে, রায় ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এ টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। কয়েক দফা মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন পরে রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন এবং নিজের দায় স্বীকার করেন।