এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এ বার্তা দেন।
শুক্রবার বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই, শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও তিনটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘনঘন কম্পনকে ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিদ্যমান সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ডা. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় সমগ্র বাংলাদেশকে মোট তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চঝুঁকির আওতাভুক্ত অঞ্চলকে জোন-১, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জোন-২ এবং জোন-৩-এর এলাকা নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মানচিত্রে দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৯১টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম’।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের আপডেটে ওয়েবসাইটটি জানায়, গত সাত দিনে বিশ্বজুড়ে মোট ৮৫২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নরসিংদীর পলাশে। একই দিন সন্ধ্যায় আরও দুটি ভূমিকম্প হয়- সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে ৩.৭ মাত্রার এবং এক সেকেন্ড পর ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সারা দেশ। এই ভূমিকম্পে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নরসিংদীতে পাঁচ, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত অনেকেই ভবন থেকে লাফ দেন, কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল ধরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ধরনের ভূকম্পনের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।