এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হার্ট ও ফুসফুসের ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। নিজের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে হাসপাতালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে খালেদা জিয়া ঘন ঘন সংক্রমণে ভুগছিলেন। সর্বশেষ চেস্টে ইনফেকশন বাড়ার পাশাপাশি আগে থেকেই থাকা হার্টের গুরুতর সমস্যা একসাথে জটিলতা তৈরি করেছে। তাঁর হার্টে স্থায়ী পেসমেকার রয়েছে এবং পূর্বে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। এছাড়া মাইট্রোস্টেনোসিস নামের দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগ থাকায় শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ায় জরুরিভিত্তিতে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালে এনে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় টেস্ট সম্পন্ন করার পর মেডিকেল বোর্ড সর্বসম্মতভাবে চিকিৎসা শুরু করে। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডা. সিদ্দিকী জানান, আগামী ১২–২৪ ঘণ্টা তাঁর শারীরিক অবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এভারকেয়ারে তাঁর তত্ত্বাবধানে আছেন অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার। মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে দেশে–বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলা যাচ্ছে না। আগামী ১২ ঘণ্টা পর আবার মেডিকেল বোর্ড বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
চিকিৎসা নিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন লন্ডনে থাকা তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। হাসপাতালে রয়েছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, চোখ, ফুসফুসসহ বহু জটিল রোগে ভুগছেন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ১১৭ দিন অবস্থান শেষে তিনি ৬ মে দেশে ফেরেন।
দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকেরা।