এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশে নতুনভাবে প্রণীত হতে যাচ্ছে ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’। নতুন এই আইনের আওতায় সাত ধরনের দলিল বাতিল হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রধানভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে যে, রেজিস্ট্রিবিহীন বা বৈধ সিল-সাক্ষরবিহীন দলিল সরকারকে কোনো ফি প্রদান করে না এবং আইনের দৃষ্টিতে বৈধতা পায় না। নতুন আইন অনুযায়ী এই ধরনের দলিল কার্যকর থাকবে না।
জমি ক্রয়-বিক্রয়, হেবা বা দান, বন্ধককৃত সম্পত্তি, উত্তরাধিকার ভিত্তিক বাটোয়ারা—সব ধরনের বৈধ দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বায়না দলিলও রেজিস্ট্রির মধ্য দিয়ে আইনগত বৈধতা পায়। দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমির সম্পূর্ণ বিবরণ, মালিকানা ইতিহাস, সীমানা, নকশা, দাতা-গ্রহীতার নাম ও ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় হলফনামা থাকা জরুরি। এছাড়া রেজিস্ট্রি ফি, কর, ভ্যাট ও আয়কর আইন অনুযায়ী জমা দিতে হয়।
নতুন আইন অনুসারে শুধু রেজিস্ট্রিবিহীন দলিল নয়, জাল খতিয়ান বা জাল দলিল তৈরি করেও যে কেউ অন্যের সম্পত্তি দখল করতে পারবে না। উদাহরণস্বরূপ, খাস জমি বেআইনি দখল করে জাল দলিল করা হলে তা বাতিল হবে। এ ছাড়া অন্যের ওয়ারিশদের অধিকার বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রি করলে সেই দলিলও বৈধ হবে না।
আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা আনা হয়েছে। নতুন আইনে দলিল জালিয়াতি, অবৈধ দখল ও প্রতারণার জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড।
নতুন এই আইন নিশ্চিত করবে যে, জমির বৈধতা, স্বচ্ছতা ও জনগণের অধিকার রক্ষিত থাকবে। এতে প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ প্রায়শই শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।