রবিবার, ০৬ মার্চ, ২০১৬, ০৫:২৩:০৬

বেঁচে রইল না কেউ, কি করবে দগ্ধ জারিফ?

বেঁচে রইল না কেউ, কি করবে দগ্ধ জারিফ?

নিউজ ডেস্ক : দুই ছেলে ও স্বামীর পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন উত্তরায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহবধূ সুমাইয়া।  দগ্ধ হওয়ার ৯ দিনের মাথায় মোহাম্মদপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ৬ মার্চ রোববার দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।  পরিবারের বেঁচে রইল না কেউ, কি করবে দগ্ধ জারিফ? সে কি জানে বাবা-মা ও দুই ভাই মারা গেছে? জানলে কেমন লাগবে ছোট্ট জারিফের- এ প্রশ্নের যেন কোনো উত্তর নেই।  খুবই মর্মান্তিক।

শনিবার রাতে দগ্ধ গৃহবধূ সুমাইয়াকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।  শুক্রবার ঢামেক থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

সুমাইয়ার মৃত্যুতে একই পরিবারের দগ্ধ হওয়া ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনই মারা গেলেন।  রইল শুধু মেজো ছেলে জারিফ বিন নেওয়াজ (১০)।  তার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।  এখন বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।

দগ্ধ হওয়ার পর পরিবারের সবাইকে ভর্তি করা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।  পরিবারের সদস্যদের ৪ জনেরই শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়।

প্রথমে ১৪ মাস বয়েসী ছোট ছেলে জারা বিন নেওয়াজের মৃত্যু হয়।  কয়েক ঘণ্টার মাথায় মারা যায় বড় ছেলে সালিল বিন নেওয়াজ (১৪)।  ২৭ ফেব্রুয়ারি সঙ্গাহীন অবস্থায় মারা যান তাদের বাবা প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজও।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কম দগ্ধ হয় মেজো ছেলে জারিফ বিন নেওয়াজ (১০)।  তার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।  বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ হন।  সকালে রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের সবাই দগ্ধ হন।
৬ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে