ঢাকা : প্রধান বিচারপতি ও বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য দেয়ায় দুই মন্ত্রী খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি।
রোববার আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ দাবি জানান।
খন্দকার মাহবুব হোসন বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে খেয়াল খুশিমতো ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আঘাত ছিল। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য বিচার বিভাগকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে দেশবাসী মনে করবে, সুপ্রিমকোর্ট ক্ষমতাসীন সরকারের রক্তচক্ষু দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত।
শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতির সমালোচনা করায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। দুই মন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে বিচারাঙ্গন এবং রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁয়তারা করছে। মীর কাসেম আলীর মামলা নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং প্রধান বিচারপতি বারবার এটা উচ্চারণ করে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল।
দুই মন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বারের সহ-সম্পাদক মাজেদুর রহমান পাটোয়ারী উজ্জল, সদস্য অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ উজ্জল প্রমুখ।
৬ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম