এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড এবং চোখের সমস্যাসহ একাধিক জটিলতায় ভুগছেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এভারকেয়ারের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালটির সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। হাসপাতালের প্রবেশ ফটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। আর নির্বিঘ্নে হাসপাতালে ঢুকতে এবং বের হতে পারছেন অন্যান্য রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। আজ এমন পরিবেশ দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ৯ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন বনশ্রীর হৃদরোগে আক্রান্ত কামরুল ইসলাম। তাকে দেখাশোনা করার জন্য হাসপাতালে আছেন তার ভাই আনোয়ার ইসলাম। সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালের নিচে হাঁটতে নামেন তিনি।
আলাপকালে আনোয়ার হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাজারো নেতাকর্মী হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন। তাদের কারণে অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনদের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি তাদের বোঝা উচিত। তবে আজ সকালের চিত্রটা একটু ভিন্ন। দলটির নেতাকর্মীদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ভিড় না করে সবাইকে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করা দরকার।
হাসপাতালের সামনে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক সদস্য বলেন, গত কয়েকদিন হাসপাতালে সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। হাসপাতালের সামনে তাদের এমন ভিড় করা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের লোকজন দেখা যাচ্ছে না। দিনটা এমন থাকলে হাসপাতালের সবার জন্যই ভালো হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের ঠিক বিপরীত পাশের একটি ভবনের বাসিন্দা ফখরুল আলম। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলমত নির্বিশেষে দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষের প্রিয়। তার অসুস্থতার কথা শুনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ হাসপাতালে সামনে ছুটে এসেছেন। এ কারণে হাসপাতাল এবং আশপাশের মানুষের জটলা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনটি না করে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দোয়া করা উত্তম। হাসপাতালের সামনে অযথা ভিড় করে অন্যদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করার কোনো মানে হয় না।