এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় এই ফোনালাপ হয়।
টেলিফোনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হাদির চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশ-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি। আশা করি, তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’
সবশেষে তথ্যমতে, দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান বিন হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হাদিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর যারা গুলি চালিয়েছে, তারা প্রায় ২ সপ্তাহ আগে তার প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুজনের মধ্যে থেকে একজন ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়। এই দুজন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওসমান হাদির প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল। মাঝখানে কিছুদিন তাদের দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগে তারা আবার এসে প্রচারণার কাজে যোগ দেয়।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনার বিষয়ে ভিডিও এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা জানান, তারা সব তথ্য যাচাই করে দেখছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।