এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না, তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি এ কথা জানান।
সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয়। পরদিন শনিবারে (১৩ ডিসেম্বর) পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়।
ঢাকা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের পরিকল্পনা করে।
হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে।
অপরদিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা থেকে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে অপারেশন পরিচালিত হয়। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়।
তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারি বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’