এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করা শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের গ্রামের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে। তবে ঘটনার পর ফয়সাল ওই বাড়িতে আসেননি।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় শুটার ফয়সালের চাচি মিনারা বেগম বলেছেন, হাদিকে যেভাবে গুলি করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই ফয়সালকে গুলি করা হোক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুটার ফয়সাল পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন ২ নাম্বার ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক ও হাসি বেগম দম্পতির ছেলে।
ফয়সালের বাবা ও চাচারা ৫ ভাই। এর মধ্যে হুমায়ন কবির চতুর্থ। গ্রামে ফয়সালের ছোট চাচা সেলিম হাওলাদার পৈতৃক ভিটায় বসবাস করেন। ওসমান হাদিকে গুলি করার পর বিষয়টি জানাজানি হলে ফয়সালের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে অসন্তোষ ও বিরূপ সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা বলেন, ফয়সালের বাবা হুমায়ন কবির প্রায় ৪০ বছর আগে কাজের সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমান। তার বৃদ্ধ বাবা-মা মারা যাওয়ার খবর পেয়েও গ্রামে আসেননি। কয়েক বছর আগে হুমায়ন কবির পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করার জন্য এসেছিলেন। জমি বিক্রি করে আবার চলে যান। এখানে এখন তার ঘরবাড়ি কিছুই নেই। পৈতৃক ভিটায় ফয়সালের ছোট চাচা সেলিম হাওলাদার থাকেন এবং কৃষিকাজ করেন।
ফয়সালের চাচি ও সেলিম হাওলাদারের স্ত্রী মিনারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ফয়সালকে জন্মের পর থেকে কখনো দেখিনি। তারা ঢাকায় বসবাস করেন। কোনো মায়ের সন্তানকে ফয়সাল গুলি করবে এটা মেনে নেব না। ওসমান হাদিকে যেভাবে ফয়সাল গুলি করেছে। ঠিক তাকেও সেভাবেই গুলি করা হোক।
কেশবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদ হোসেন বলেন, হুমায়ন কবির অনেক আগেই গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। ঢাকায় গিয়ে তিনি বিয়ে করেছেন। গ্রামের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
বাউফল থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফয়সালের স্থায়ী ঠিকানা উপজেলার কেশবপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। অনেক বছর আগে তারা এলাকা ছেড়ে যায়। এখানে তাদের থাকার কোনো ঘর-দরজাও নেই। প্রায় ১ যুগ আগে পৈতৃক বসতঘরটিও ফয়সালের বাবা বিক্রি করে নিয়ে গেছে। তবে ফয়সালের গ্রামের বাড়িতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।