সোমবার, ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৪৮:১৯

দুই মন্ত্রীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

দুই মন্ত্রীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে নিয়ে মন্তব্য করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।      
বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত শনিবার ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত যে অভিযোগ করেছে, বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপ যে সুরে কথা বলছে, একই সুরে কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি।  শুধু তাই নয়, এই বক্তব্য ট্রাইব্যুনালের পাঁচ বছরের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হত্যা করা হয়েছে।’

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি পুনরায় করা উচিত।

অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আর প্রধান বিচারপতি যদি উন্মুক্ত আদালতে এমন কথা বলে থাকেন তাহলে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তার এটা বোঝা উচিত। এটা করে থাকলে এটার প্রতিকার কী- এটা তিনি নিশ্চয় জানেন।  হয় তিনি এটা প্রত্যাহার করে নেন, আর না হয় প্রধান বিচারপতির আসনে থাকার সুযোগ কতটুকু আছে তা তার ওপরই রাখতে চাই।’

খাদ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে রোববার অ্যাটর্নি অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রধান বিচারপতি ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি কোনো ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান।  প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করা মানে বিচারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা।  প্রধান বিচারপতি ও বিচারালয় নিয়ে বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

রোববার সুপ্রিমকোর্ট বার আয়োজিত প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতি ও মীর কাশেম আলীর রায় নিয়ে সরকারের দুই মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তাতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
৭ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে