সোমবার, ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০৬:২১:২৩

মাত্র ২০ মিনিটেই গাজীপুর থেকে ঢাকা

মাত্র ২০ মিনিটেই গাজীপুর থেকে ঢাকা

নিউজ ডেস্ক : মাত্র ২০ মিনিটেই গাজীপুর থেকে ঢাকা বিমানবন্দর আসা যাবে এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।  গাজীপুর থেকে ঢাকায় যাত্রীদের যাতায়াত দ্রুত ও নির্বিঘ্ন করতে পৃথক দুই লেনে বাস চলাচলের জন্য একটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 এতে ঢাকা মহানগরীকে যুক্ত করে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি (বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।  গাজীপুর থেকে মাত্র ২০ মিনিটেই গণপরিবহনের বাস চলে আসবে বিমানবন্দর পর্যন্ত।  গণপরিবহনের বাসগুলো বিআরটি অনুমোদিত।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বিআরটি আইন, ২০১৬’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও দ্রুত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 তিনি বলেন, গণপরিবহনের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই বিআরটি আইন করা হচ্ছে।  চার লেনের মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হবে।  দুই পাশে দুটি লেন থাকবে।  এ দুটি লেন দিয়ে শুধু বিআরটিএ অনুমোদিত গণপরিবহন বা বাস চলবে।  অন্য কোনো যানবাহন চলবে না।

এ আইনের খসড়ায় জেল-জরিমানা এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, লাইসেন্স ছাড়া বিআরটিএ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড।  অনুমোদন ব্যতিরেকে লাইসেন্স হস্তান্তর করলে ১০ বছর জেল বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়।

তিনি বলেন, অনুমোদনহীন বিআরটিএ বাস টিকিট বিক্রি বা পাস বিক্রি বা জাল করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।  কোনো কর্মচারী করলে দু'বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

সচিব বলেন,  বিআরটি পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক লাইসেন্স গ্রহিতাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাস ও যাত্রীদের জন্য বিমা করতে হবে।  কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে লাইসেন্স গ্রহিতার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবির ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে ভাড়া নির্ধারণের জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  কমিটি ভাড়া যাচাই-বাছাই করবে।  যাত্রী পরিবহন সংক্রান্ত তথ্য এবং ভাড়া ওয়েবসাইট ও বহুল প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে।

বিআরটির প্রতিটি কোচে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, মহিলা, শিশুদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে খসড়ায় বলে জানান তিনি।  বিআরটি’র জন্য কোথাও ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে জনস্বার্থে করা যাবে বলেও জানান তিনি।
৭ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে