এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৫৪ মিনিটের দিকে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন।
হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে বিপুল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। হাসপাতালের বাইরে তারা ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
এর আগে, বিকেল পৌনে চারটার দিকে লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে মাকে দেখতে এভারকেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শোকরিয়া আদায় করছি। মহান রাব্বুল আলামিনের দোয়ায় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি।
এ সময় দেশবাসীর কাছে মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, সন্তান হিসেবে আমার মন হাসপাতালে শুয়ে থাকা আমার মায়ের বিছানায় পড়ে আছে। আমি এখান থেকে আমার মায়ের কাছে যাবো। সবাই দোয়া করবেন, যেন তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
তারেক রহমান বলেন, ৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
তিনি বলেন, সকলে মিলে দেশ গড়ার সময় এসেছে। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।
শহীদ ওসমান হাদীকে নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে। গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে রওনা হয়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে কিছু সময় যাত্রাবিরতি নিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এ যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।