এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খালেদা জিয়া নেই, কিন্তু তার বাবার বাড়ির দরজায় আছে স্মৃতিময় সে শখের মাছের দীঘি। শ্রীপুর দীঘিটির অবস্থান ফেনীতে তার পৈতৃক বাড়ির দরজায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির সামনে শ্রীপুর দীঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন বেগম জিয়া। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীতে আসেন তিনি। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে দীঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও বাড়ির প্রতিটি ধুলি কণার সঙ্গে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে শানবাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সঙ্গে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিদে জীবনযাপন করতেন তিনি।
জানা যায়- ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের মজুমদার বাড়িতে এলে বাড়ির দরজায় দক্ষিণ শ্রীপুর দীঘির পাড়ে নিজ হাতে রোপণ করেন নিম গাছ। পরিচর্যায় বৃক্ষটি বড় হলে বৃক্ষের গোড়ায় খালেদা জিয়ার নামটি টাইল্স দিয়ে লিখা আছে। এই বাড়িতে খালেদা জিয়ার অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া ঘরের ভেররে বসায় চেয়ারটি বেগম জিয়ার বিশ্রাম নেয়ার ছোট্ট সেই খাঁটটি, ঘরের ভেতরে খাবারের টেবিলটি সবকিছুতেই যেন লেগে আছে তার হাতের ছোঁয়া।
জানা গেছে, সবশেষ ২০০৮ সালেও ফেনীর ফুলগাজীতে বাবার বাড়িতে এসে দাদা সালামত আলী মজুমদারের কবর জিয়ারত করে শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে আজ সেই বাড়িতেই নেমে এসেছে রাজ্যের নীরবতা।
বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম হোসেন মজুমদার বলেন, এ দীঘির মাছ তিনি খুব পছন্দ করতেন। তিনি আসার খবর পেলেই দীঘিতে মাছ ধরা হতো। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাকে হারিয়ে দেশ জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, সে ক্ষতি কখনো পোষাবে না। নিজ পৈতৃক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদ্রাসা, মসজিদ, স্কুল-কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।