শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৯:৩৪:৪৬

‘ডিজিটাল পুকুর চুরি’ স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক, বেহাত ৬৩৫ কোটি টাকা

‘ডিজিটাল পুকুর চুরি’ স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক, বেহাত ৬৩৫ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক : 'ডিজিটাল পুকুর চুরি'র কথা প্রথমবারের মত স্বীকার করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত অর্থ থেকে ৯৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির চেষ্টা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া থেকে ঠেকানো গেছে। ফলে ১০ কোটি ডলারের বেশি বেহাত হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একথা জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এ এফ এম আসাদুজ্জামান।

এর আগে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ হ্যাকড হওয়ার তথ্য স্বীকার করলেও এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পেজটি বাংলাদেশ ব্যাংকেরই। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আমরা বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে অবহিত করেছি।’

ফেসবুকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের ৯৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩০টি নির্দেশের ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া শুরুতেই প্রতিহত করা গেছে। অবশিষ্ট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দুই কোটি ডলার এরই মধ্যে ফেরত আনা গেছে।

বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকা) ফেরত আনার প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে প্রকাশ পেলেও গত মাসেই ফিলিপাইনের ‘দি ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার’ চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ কোটি ডলার লোপাট করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছিল।

এই অর্থ পাচারের ঘটনাটি এখন বাংলাদেশের সঙ্গে ফিলিপাইনেও আলোচিত ঘটনা। সেখানেও এর তদন্ত চলছে।

ইনকোয়ারার বলেছে, সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী অর্থ চলে যায় দুই দেশের দুই ব্যাংকে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা/দের যোগসাজশ ছাড়া এ ধরনের হ্যাকিং প্রায় অসম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই পোস্টে আরো বলা হয়, ‘ভবিষ্যৎ সাইবার আক্রমণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি প্ল্যাটফরমে আধুনিকতম প্রতিরোধ ব্যবস্থার সন্নিবেশও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনোরূপ বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
১২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে