ঢাকা : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গিবাদে সহযোগিতা করতেই দলের কয়েকজন কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াবহির্ভূত তারা কাউন্সিল থেকে বের হয়ে রাস্তায় বসে নিজেদের মতো একটি কমিটি ঘোষণা করেছে। কাউন্সিল অধিবেশনের বাইরে রাস্তাঘাটে বসে কমিটি গঠন সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্রবিরোধী।
দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, বাদল-আম্বিয়ারা চক্রান্তকারীদের পক্ষ নিয়েছেন। কাউন্সিল অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করেছি আমরা। সেখানে তাদেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করবো সাময়িক উত্তেজনা প্রশমিত হলে বিভ্রান্তি ত্যাগ করে স্ব-সম্মানে দলে ফিরে এসে নীতি-নির্ধারণীমূলক ভূমিকা পালন করবেন তারা। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে আছেন। দলের রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণে আগের মতোই সুযোগ পাবেন তারা।
ইনু বলেন, ডা. মুশতাক দলের সম্মেলনের রাজনৈতিক অধিবেশনে সরকার ও জোট থেকে বেরিয়ে আসার একটি লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। মঈনুদ্দিন খান বাদল ও শরীফ নুরুল আম্বিয়া ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। কাউন্সিলরা আলোচনা করে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো রকম হঠকারিতা, স্বেচ্ছাচারিতা করা হয়নি। আলোচনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা রহস্যজনকভাবে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, যা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে। এ মুহূর্তে সরকার ও জোট থেকে বেরিয়ে আসলে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াই দুর্বল হয়ে পড়বে। জাসদ ১৪ দলে আছে এবং থাকবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আজ পর্যন্ত সরকার, গণমাধ্যম বা জাসদের নেতাকর্মীসহ কোনো পর্যায় থেকে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অস্বচ্ছতার কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তাই এই অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা। জঙ্গিবাদবিরোধী শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে অংশ নেবে জাসদ।
তিনি বলেন, আমি সরকারে রয়েছি, দলে রয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছি। সরকারে থাকবো না, দলে থাকবো- এটি আংশিক ও অবাস্তব প্রস্তাব। পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে তারা এমন কথা বলছে। তাদের ভুল শুধরে আবারো যাতে দলে ফিরে আসতে পারে সেজন্য কাউন্সিল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও কমিটিতে রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, কার্যকরী সভাপতি হাবিবুর রহমান, দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুর রহমান শওকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
১৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম