রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬, ০৮:৪৮:৪১

‘ভাঙতে চাইনি, কাঁধের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে’

‘ভাঙতে চাইনি, কাঁধের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে’

নিউজ ডেস্ক : দলে ভাঙনের কারণ দীর্ঘদিন জমে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ বলে মন্তব্য করেছেন জাসদ (একাংশ) কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল।  দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

রোববার জাতীয় সংসদে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় প্রধান ব্যক্তিগত সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ক্ষোভ থেকে এটা হয়েছে।  মন্ত্রী হওয়ার পর আর্থিক বিষয়ে দলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।  এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা আছে, অস্বচ্ছতা আছে।  দলীয় সভাপতি ব্যক্তিগত রাগ-অনুরাগ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, কিন্তু তিনি নিয়েছেন।  সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি ছয় বছর সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে কোনো কাজ করতে দেননি।  দশম সংসদে দল থেকে যে ছয়জন এমপি হয়েছেন তাদের চারজনই আম্বিয়ার নেতৃত্বে দলের সঙ্গে আছেন।  

তিনি বলেন,দলের স্থায়ী কমিটির ১৪ সদস্যের ১০ জনই বেরিয়ে এসেছেন। তবে দল ভাঙার কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না।  আমরা দল ভাঙিনি, ভাঙতে চাইনি।  ভাঙন কমিটির সাথে আচরণ এবং দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্রোধের বিস্ফোরণ।  

বাদল বলেন, কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত ছিল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কার্যকরী সভাপতি একবারের বেশি স্বপদে থাকতে পারবেন না।  তাকে একবারের বদলে আমরা তিনবার (ইনুর সভাপতিত্ব) করে দিয়েছি।  

তিনি বলেন, আমাদের দলে কথা উঠেছিল, দলের কেউ যদি নির্বাহী দায়িত্ব  গ্রহণ করেন তবে তিনি দলের পদে থাকতে পারবেন না।  যেকোনো একটি দায়িত্ব রাখতে পারবেন।  এ দুটি বিষয়ে আলোচনা করে হাসানুল হক ইনুকে কাউন্সিলররা সুযোগ দিয়েছে।  উনি সভাপতি ও মন্ত্রী দুটোতেই থাকতে পারবেন।

বাদল বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম- সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শিরিন আক্তারের নাম প্রস্তাব করা হলো।  এটা আসতেও পারে।  তার নাম প্রস্তাব করার পর সমর্থন করা হয়েছে।  সেটাও হতে পারে।  কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে কেউ বললো পাস পাস, শিরিন আক্তার পাস।  সেটাও হতে পারে।  কিন্তু নির্বাচন কমিশনার বলতে পারে না, পাস হয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, আমরা তাকে (ইনু) বারবার বলেছি, সম্মেলনে কাউন্সিলরদের স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করতে দিন।  কাউন্সিলরদের রায় নত চিত্তে মেনে নেয়ার কথাও বলেছি আমরা।  কিন্তু হঠকারী কর্মকাণ্ডের কারণে কাউন্সিল ধ্বংস হয়েছে।  এর উত্তর উনাকেই (ইনু) দিতে হবে।

বাদল বলেন, ভাঙতে চাইনি, কাঁধের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।  আমরা বিশ্বাস করি, দলটি যতবার ভেঙেছে ফিনিক্স পাখির মতো ছাই থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।  

বাদল বলেন, আপাতত তাদের কোনো নির্দিষ্ট অফিস নেই।  জাসদের যে অফিসটি রয়েছে তা চারজনের নামে।  এর মধ্যে একজন কাজী আরেফ আহমেদ মারা গেছেন।  বাকি তিনজনের মধ্যে একজন হাসানুল হক ইনু।  অন্য দুজন আমাদের সঙ্গেই আছে।  এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 সংবাদ সম্মেলনে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানসহ বেশ কয়েক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে