নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরির টাকা নিয়ে ফিলিপাইন সিনেট কমিটি কাল বৈঠকে বসছে। চুরির ওই অর্থ কীভাবে ব্যয় হয়েছে তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে দেশটির সিনেট কমিটি।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিপাইন পার্লামেন্টের ব্যাংক ও আর্থিক বিষয়ক কমিটির প্রধান সিনেটর সার্জেই ওসমেনা এ কথা বলেন।
এন্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলসহ (এএমএলসি) ফিলিপাইনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ব্যাংক জালিয়াতির এ ঘটনা তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়।
ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিটের রিজাল ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারি ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে এ অর্থ পাঠানো হয়।
সিনেটর ওসমেনা বলেন, ২০১৫ সালে মে মাসে রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ৫শ' মার্কিন ডলার প্রাথমিক জমায় ৪টি অ্যাকাউন্ট যারা খুলেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা হলেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড সানতোস ভারগারা, এনরিকো তিযোদরো ভাসকুইজ। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়।
সিনেটর ওসমেনা বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল টাকা স্থানান্তর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিনেটের রিবন কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে।
সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, আগে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা হবে। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে ফিলিপাইন ব্যাংকে এ টাকা পাঠানো হলো তাও বের করা হবে।
তিনি বলেন, এরপর ২০১৫ সালে রিজাল ব্যাংকে খোলা ৪ অ্যাকউন্টে কীভাবে টাকাগুলো বণ্টন হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
চুরির এ অর্থ অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিনেটর ওসমেনা বলেন, কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে না। অর্থ কোথায় গেছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই কমিটির।
১৪মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম