নিউজ ডেস্ক : চাকরি না পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন! বিষপান করে কৃষক পিতার একমাত্র ছেলেটিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিকটজনেরা বলছেন, পড়াশোনা শেষ করার পরও দীর্ঘদিন চাকরি না পাওয়ার হতাশায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তারেক আজিজ নামে এই শিক্ষার্থী পড়তেন দর্শন বিভাগে। দুপুরে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এখতারপুর গ্রামে তারেক আজিজের লাশ দাফন করা হয়েছে।
কৃষক বাবা আবদুল খালেকের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৪৯ নম্বর কক্ষে।
তারেকের ছোট বোন জ্যোতি সাংবাদিকদের বলেন, পড়াশোনা শেষ করার পরও দীর্ঘদিন চাকরি না পেয়ে বছর খানেক আগে বাড়ি ফিরে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিষপান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে কালীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতেই তিনি মারা যান। বুধবার ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে হাসপাতাল ও শাহবাগ থানা থেকে ছাড়পত্র দিলে তাঁর লাশ নিয়ে আসা হয়।
তারেকের সহপাঠী টিপু সুলতান বলেন, পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন তিনি সরকারি-বেসরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো চাকরিই না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হন। প্রায়ই বন্ধুদের তাঁর হতাশার কথা শোনাতেন।
তারেকের রুমমেট জুবায়ের আহমেদ বলেন, তিনি মানুষ হিসেবে খুব ভদ্র ছিলেন, মেধাবীও ছিলেন। কিন্তু কোথাও চাকরি পাচ্ছিলেন না। বর্তমান সমাজ ও সামাজিক অসংগতির নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন। ঢাকায় কিছু করতে না পেরে বছর খানেক আগে গ্রামের বাড়ি ফিরে যান। -প্রথম আলো
১৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস