বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৬, ০১:৫৩:২৩

৮০০ কোটি টাকা ‘কালো গহ্বরে’, উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই

৮০০ কোটি টাকা ‘কালো গহ্বরে’, উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই

নিউজ ডেস্ক : ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ বাংকের চুরি যাওয়া ১০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফিলিপাইনের সিনেটে শুনানিতে দেশটির কয়েকজন সিনেটর বলেছেন, বাংলাদেশের এই টাকা এরই মধ্যে ‘কৃষ্ণ গহ্বরে’ পতিত হয়েছে। কালো পথে চলে গেছে বিভিন্ন ক্যাসিনোতে। সেখান থেকে এ টাকা তুলে আনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

সিনেটর সার্জিও ওসমেনা তৃতীয়, সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ার সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা তৃতীয়। সিনেটর ওসমেনা বলেছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, এ অর্থ এরই মধ্যে দেশের বাইরে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এখন এ অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করে ক্যাসিনোগুলোর সহযোগিতার উপর।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটিতে দ্বিতীয় দিনের মত শুনানি হবে। শুনানিতে ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাসিয়াল ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মায়া সান্তোস-দেগুইতো, যিনি এ অর্থপাচারের ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন, তার জানা সব তথ্য প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এ অর্থ চুরি যাওয়ার পর তা কোথায় কোথায় কোন কোন ক্যাসিনোতে গিয়েছে তা নির্ণয়ের চেষ্টা থাকবে সেই শুনানিতে। সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমরা ক্যাসিনোগুলোর কাছ থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবো। আমরা সোলাইয়ার’এর প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি নি। কারণ, তিনি ছিলেন দেশের বাইরে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনোগুলোর কাছে জানতে চেষ্টা করা হবে টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে। এ বিষয়ে তাদের রেকর্ডও চাওয়া হবে। যাতে বোঝা যায় তারা কি পরিমাণ অর্থ পেয়েছে এবং তার মালিক কে। এছাড়া ক্যাসিনোগুলো থেকে টাকাগুলোর স্থানান্তর নিয়ে ‘ইলেকটোরাল ট্রায়াল’ খোঁজা হবে।

সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমি আশা করি ক্যাসিনোগুলো ইলেকট্রনিক ট্রায়াল সরবরাহ করবে। আমরা জানি না তারা কিভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। এখানে আইনের রয়েছে অনেক ফাঁকফোকর। এসব ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যেতে পারে।

ক্যাসিনোগুলো আইনের দোহাই দিয়ে কি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিনেটর ওসমেনা বলেন, দেশের আইন সরকারের চেয়ে অপরাধীদের বেশি রক্ষা করে। এক্ষেত্রে তিনি গত মঙ্গলবারে সিনেট শুনানিতে আরসিবিসি কর্তকর্তাদের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তারা আইনের দোহাই দিয়ে সব কথা সেদিন খুলে বলেন নি।
১৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে