শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬, ০১:৪২:৫৬

সরকারের সহযোগিতা চায় বিএনপি

সরকারের সহযোগিতা চায় বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল আয়োজন সফল করতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন রাখবে কাউন্সিল।

এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কাউন্সিল সফল করতে সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে এ প্রত্যাশা করছি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য যে উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির আহ্বায়কদের নিয়ে কাউন্সিলস্থল সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছিলাম।

আশা করছি- আগামী ১৯ তারিখ কাউন্সিল অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। মির্জা আলমগীর বলেন, কাউন্সিল নিয়ে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ কাউন্সিলের মাধ্যমেই আবার জেগে উঠবে নেতাকর্মীরা। তাছাড়া এ কাউন্সিল দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে- সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, কাউন্সিলের দিন ‘স্যাবোটাজের’ কোনো আশঙ্কা তারা করছেন না। সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল শেষ হবে ও এ জন্য সরকারের সহায়তা চান তিনি। এর আগে উপ-কমিটির প্রধানদের নিয়ে কাউন্সিলের ভেন্যু পরিদর্শন ও বৈঠক করেন তিনি।

এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাস, শামা ওবায়েদসহ উপকমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজত এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের আপ্যায়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও দলের অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ষষ্ঠ কাউন্সিলের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছি। সেটা না পেলে ওই এলাকায় যানজট হলে বিএনপি দায়ী থাকবে না। দায় সরকারের।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে চান, কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করতে চান। আমরা কাউন্সিলের ডেলিগেটদের বসানোর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি অংশ চেয়েছিলাম। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিদেশি মেহমান, কাউন্সিলর ও সাংবাদিক ছাড়া কারও জায়গা থাকবে না। ডেলিগেটরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বাইরে অবস্থান করবেন। তাদেরকে ৯টি স্থান থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশ ব্যবহারের অনুমতি : কাউন্সিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলের জন্য গত ২রা মার্চ অনুমতি পায় বিএনপি। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েও আবেদন করেছিল দলটি।

জানা গেছে, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ছাড়াও এর সামনের প্রাঙ্গণ, পূর্ব দিকের সামনের সড়ক, সেমিনার হল, পেছনের মাঠ অর্থাৎ নতুন ভবনের সামনের মাঠও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবল টেনিস মাঠটি ছাড়া আশপাশের পুরো জায়গাই বিএনপি ব্যবহার করতে পারবে। এদিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বুকিং চেয়ে গত ২৪শে জানুয়ারি চিঠি পাঠায় বিএনপি।

তবে ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা যাবে না’ এমন যুক্তি দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিএনপিকে অপারগতার কথা জানায়। এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশের অনুমতিসাপেক্ষে কাউন্সিল করা যাবে বলে বিএনপিকে চিঠি দিয়ে জানায় সরকারের গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু কাউন্সিলের তিনটি ভেন্যুর একটি হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের অনুমতি পাওয়ায় বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। পরে আবার আবেদন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি চায় দলটি। -এমজমিন

১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে