শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬, ১১:১৫:৪৫

কাউন্সিল উদ্বোধন করলেন খালেদা জিয়া

কাউন্সিল উদ্বোধন করলেন খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ‘দুর্নীতি দু:শাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠত হচ্ছে দলটির ষষ্ঠ কাউন্সিল। শনিবার পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিল উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।

কাউন্সিলের উদ্বোধনের সময়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজমিন, রিজিয়া পারভীনসহ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংস্থার নেতাকর্মীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মী জাতীয় সংগীতে কন্ঠ মেলান।

এরই মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথি, দলের শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কাউন্সিলে অংশ নিয়েছেন।

এর আগে তিনি ১০টা ৪০ মিনিটে কাউন্সিল মঞ্চে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এর আগে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন তিনি। কাউন্সিলের ভেন্যুতে উপস্থিত হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান তাদের নেত্রীকে।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত হয়েছেন।

এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈয়মুর আলম খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ উপস্থিত আছেন।

এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত বিদেশে অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কুটনীতিকরা উপস্থিত রয়েছেন।

কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখবেন দলীয় প্রধান। এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান।

এদিকে কাউন্সিলকে ঘিরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তন চত্বর এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব-উত্তর অংশে নেতাকর্মীরা সকাল থেকে জমায়েত হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এখানে আসছেন।

তিন হাজার ১শ’ কাউন্সিলর, প্রায় ১০ হাজার ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি, বিদেশি মেহমান ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী মিলে প্রায় ৩০/৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এবারের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কাউন্সিলকে ঘিরে দেখা গেছে নেতা কর্মীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস। ভোর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নেতা কর্মী ছুটে এসেছেন। কাউন্সিলে নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।

কাউন্সিল সফল করা আহবান জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউশনের ভেতর ও এর আশপাশের এলাকায় পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ও তোরণ লাগিয়েছেন বহু নেতাকর্মী।

এদিকে শুক্রবার সারারাত রাজধানীতে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার ফলে ইঞ্জিানয়ার্স ইনন্সিটউশনের সম্মেলনের স্থান ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।  রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে, অতিথির বসার চেয়ার ভিজে গিয়েছে পানিতে। ফলে আয়োজকদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি বিরাজ করছে।

সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে খালেদা জিয়া চেয়ারপরসন এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন হন বিএনপির মহাসচিব। তিন বছর মেয়াদি কমিটির সময় আড়াই বছর আগেই শেষ হয়েছে।

এর আগে দুই দফা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল হয়। দ্বিতীয় কাউন্সিল হয় ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর এর আট বছর পর ১৯৮৯ সালের ৮ ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দলটির তৃতীয় কাউন্সিল। ১৯৯৩ সালের ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চতুর্থ কাউন্সিল করে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর হয় পঞ্চম কাউন্সিল।
১৯ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে