শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬, ০১:৫৮:১১

বিএনপির ভিশন-২০৩০, অচিরেই তুলে ধরা হবে: খালেদা

বিএনপির ভিশন-২০৩০, অচিরেই তুলে ধরা হবে: খালেদা

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, অচিরেই জাতির সমানে বিএনপির ভিশন-২০৩০ তুলে ধরা হবে। সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ভিশন-২০৩০ এর লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এর আগে সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।  

‘দুর্নীতি দুঃশাসনের হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বর্তমান সংসদকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ করা হবে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের মিশন টুয়েন্টি-থার্টি। আমরা ক্ষমতায় এলে এর মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং দেশের নাগরিকদের মাথা পিছু আয় হবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতিকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার নষ্ট রাজনীতি সরকার শুরু করেছে। এখনই যদি এ অবস্থা থেকে আমরা বের হতে না পারি তাহলে দেশ ও জাতির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।

খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করেছিলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন বদলে গেছে। কিন্তু মেধা ও দক্ষতা থাকা সত্বেও আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। দেশে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই এখন। জাতি হিসেবে আমাদের বর্তমান এখন সংকটে আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার-অনিশ্চিতে। এ পরিস্থিতিতে জাতিকে দেখাতে হবে নতুন দিক-নির্দেশনা।

এই কাউন্সিল সেই পথ দেখাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান। তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকতেও বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি করে এসেছে। গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে এসেছে। কিন্তু কখনো ক্ষমতাসীন দলের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

খালেদা বলেন, এখনও বিএনপিই পারে শুধু ইতিবাচক ধারার রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে।

কাউন্সিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার,  লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হানান শাহ , ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম,  সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ওসমান ফারুক, এম এ মান্নান, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী প্রমুখ কাউন্সিলে উপস্থিত আছেন।

এতে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ড. কর্নেল অলি আহমেদ, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, মাওলানা আব্দুল হালিম, শফিউল আলম প্রধান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাহাদৎ হোসেন সেলিম, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুৎফর রহমান, মুফতি মোহাম্মাদ ওয়াক্কাস, খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জেবেল রহমান গাণী, মহিউদ্দিন ইকরাম, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মোস্তফা জামাল হায়দার, গোলাম মোস্তাফা ভূইয়া প্রমুখ।

কাউন্সিলে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য সিমন ডান্স জাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি সাইমুন ব্যাঞ্জক,  ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ফিল বেনিওনর উপস্থিত আছেন।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমদ, রুহুল আমিন গাজী, এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
১৯ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে