নিউজ ডেস্ক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে ব্রিটিশ কোম্পানি রেডলাইন। ২২ মার্চ থেকে কোম্পানিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
সমঝোতা সইয়ের মাধ্যমে এ দায়িত্ব পেলেও ব্রিটিশ কম্পানিটির মূল কাজ শুরু করবে ১ এপ্রিল থেকে।
সূত্র মতে, যুক্তরাজ্যের ‘রেডলাইন অ্যান্ড কন্ট্রোল রিস্কস’ নামের নিরাপত্তা কোম্পানির সঙ্গে আজ রোববার বিকেল ৩টায় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। এ বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও সমঝোতা সই হবে। সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর অনুমোদন নেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় তদারকি, স্ক্রিনিং ব্যবস্থা পরিচালনা এবং জনবল প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকেও সে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। এর মধ্যদিয়েই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্ব চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানির হাতে।
সূত্রে জানা গেছে, সমঝোতা স্মারক সই হলে ব্রিটিশ কোম্পানি রেডলাইন জনবল ঢাকায় নিয়ে আসবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের পাশে সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার এলাকায় তাদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করবে কোম্পানিটি।
ব্রিটিশ কোম্পানিটি প্রথমে ৬ মাসের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরুর কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ১২ মাস করা হতে পারে। আজ বিমানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবে।
এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হলেও মূল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকবে বাংলাদেশের কাছে। বিমানবন্দরের কার্যক্রম এবং নিরাপত্তার বিষয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। একইদিন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ দুদেশের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কাজ শুরু না হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীবাহী বিমানও নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে।
যুক্তরাজ্যের কঠোর পদক্ষেপের পর নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিটিশদের পরামর্শে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বর্তমান কর্মকাণ্ড বেশ প্রশংসার দাবি করছে ব্রিটিশ সরকার। এতে খুব তাড়াতাড়ি তাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাজ্য।
২০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম