বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬, ০৩:৩২:০৮

ইউপিতে আ’লীগের নিরংকুশ বিজয়

ইউপিতে আ’লীগের নিরংকুশ বিজয়

নিউজ ডেস্ক : প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন দেশের ৩৬ জেলার ১০০ উপজেলার ৭১২ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ হয়। রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুগান্তরের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে ৫৫৯ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।

এতে নিরংকুশ বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা ৪৩৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৪৮ ইউপিতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৩৪ ইউনিয়ন পরিষদে জয়ী হয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। একই ভাবে বিএনপির বিদ্রোহীরাও জয় পেয়েছেন ৬টিতে। জাতীয় পার্টি ৪, জাসদ ৩, জাতীয় পার্টি (জেপি) ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টিতে জয়ী হয়েছে। এছাড়া ২২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। প্রতীক না পেলেও জামায়াতে ইসলামী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছে ২ ইউনিয়ন পরিষদে।

এদিন নির্বাচনী অনিয়মের কারণে ৬৫ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের ফলও স্থগিত করা হয়। এদিন ভোট বর্জন করেছেন ১৩৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা-

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার প্রতিনিধি সুব্রত দাস রনক জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সব ক’টিতেই আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন- এসএম সোহরাব হোসেন (লতবদী), ইকবাল হোসেন চোকদার (রশুনিয়া), আবদুল মতিন হাওলাদার (ইছাপুরা), গাজী মো. আলাউদ্দিন (বয়রাগাদী), হাজী করিম শেখ (মধ্যপাড়া), আলহাজ আবু বকর সিদ্দিক (বালুচর), সাইফুল ইসলাম যুবরাজ (বাসাইল), মীর লিয়াকত আলী (কোলা), সানজিদা আক্তার জ্যোৎস্না (মালখানগর), রফিকুল ইসলাম দুদু (জৈনসার)।

ঢাকা (দোহার) :  ঢাকার দোহার উপজেলায় আওয়ামী লীগের ২ প্রার্থী ও একই দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ৩ প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে,  কসুমহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন আজাদ (নৌকা) নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি পেয়েছেন ৪৬২৯ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র আবদুল ওয়াহাব দোহারী পেয়েছেন ২৬৬০ ভোট। বিলাশপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী মো. আলাউদ্দিন মোল্লা ৩২৩১ ভোট  পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের হুকুম আলী চোকদার ৩০১২ ভোট পেয়েছেন।

নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শামীম আহমেদ হান্নান ৪৬১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের বজলুর রহমান কামাল ৪১৭১ ভোট পেয়েছেন। নারিশা ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী সালাহউদ্দিন দরানি ৫৪৪০ ভোট ও তার নিকটতম আওয়ামী লীগের আওলাদ হোসেন ৪৮১১ ভোট পেয়েছেন। মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগের এমএ হান্নান নির্বাচিত হন ১০৬৮০ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম ভোট পান বিএনপির (নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন) আবদুল হালিম (১৩৯৬)।

নরসিংদী : পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেরুল হাই খান ও গজারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুজ্জামান জয়ী হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ : টুঙ্গিপাড়ায় পাঁচ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে তিনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন কুশলী ইউনিয়নে মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, বর্ণি ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম বাদশা মুন্সী ও পাটগাতী ইউনিয়নে মিলন মোল্লা। এছাড়া গোপালপুর  ইউনিয়নে সুষেন সেন ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নে কবির আলম তালুকদার জয়ী হয়েছেন।

কুমিল্লা : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার বড়শালঘরে আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম ফারুক, ইউসুফপুরে আওয়ামী লীগের মোস্তফা কামাল চৌধুরী, রসুলপুরে আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান, সুবিল ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু তাহের সরকার, এলাহাবাদে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম সরকার, জাফরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সোহরাব হোসেন, রাজামেহারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ধামতী ইউপিতে আওয়ামী লীগের ময়নাল হোসেন, সুলতানপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম ও মোহনপুর ইউপিতে বিএনপির শহিদুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছে।

কক্সবাজার : ৩ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১১টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ, ২টিতে বিএনপি, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ছৈয়দ আহমদ, লেমশীখালি ইউনিয়নে বিএনপির আকতার হোসাইন, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মৌলভী আজিজ, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান ও টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর আহমদ, কুতুবজোম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোশারফ হোসেন খোকন, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ জিহাদ বিন আলী।

টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান মিয়া, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. মোস্তফা কামাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া : দুই উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আ’লীগের ৬ জন, বিএনপির ১ জন, বিএনপি বিদ্রোহী ২ জন ও স্বতন্ত্র ২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেরুল ইসলাম, সারিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল ফাকি, সারিয়া কান্দি নারচি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন তরফদার, কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপির এমরান আলী রনি, চন্দন বাইশা ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী সাহাদত হোসেন দুলার,  হাটসেরপুরে আওয়ামী লীগের মতিয়া রহমান, ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের আনুয়ারুত তারিক, কন্নি বাড়িতে আওয়ামী লীগের আজাহার আলী মণ্ডল, ভেলা বাড়িতে আওয়ামী লীগের রুবেল উদ্দিন, কামালপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলাম, চালুয়া বাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।

পাবনা : বেড়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নে এএম রফিক উল্লাহ, কৈটলায় শওকত হোসেন, ঢালারচর ইউনিয়নে কোরবান আলী সরদার, চাকলায় ফারুক হোসেন, মাসুমদিয়া ইউনিয়নে মিরোজ হোসেন, হাটুরিয়া নাকালিয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান, রূপপুরে আবুল হাশেম উজ্জ্বল, নতুন ভারেঙ্গায় আমজাদ হোসেন ও জাতসাখিনী ইউনিয়নে রেজাউল হক বাবু।

জামালপুর : ইসলামপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান শাহিন নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর : মণিরামপুরে ১৬টি ইউনিয়নে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের ১১, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২ ও বিএনপির ৩ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- রোহিতা ইউনিয়নে আনছার আলী সরদার (আওয়ামী লীগ), কাশিমনগরে আহাদ আলী (বিএনপি), ভোজগাতী আবদুর রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ), ঢাকুরিয়ায় দুর্গাপদ সিংহ (আওয়ামী লীগ), হরিদাসকাঠিতে বিপদ ভঞ্জন পাড়ে (আওয়ামী লীগ), মণিরামপুর সদরে নিস্তার ফারুক (বিএনপি), খেদাপাড়ায় সরদার মুজিবর রহমান (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), ঝাঁপায় শামছুল হক মন্টু (আওয়ামী লীগ), মশ্বিমনগরে আবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ), চালুয়াহাটীতে আবদুল হামিদ সরদার (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), শ্যামকুড়ে মনিরুজ্জমান মনি (আওয়ামী লীগ), খানপুরে গাজী মোহাম্মদ আলী (আওয়ামী লীগ), দুর্বাডাঙ্গায় সরদার বাহাদুর আলী (আওয়ামী লীগ), কুলটিয়ায় শেখর চন্দ্র রায়, নেহালপুরে নাজমুস সাদাত (বিএনপি) ও মনোহরপুর ইউনিয়নে মশিয়ার রহমান (আওয়ামী লীগ)।

চট্টগ্রাম : রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইদ্রিছ আজগর নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ : কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরা হলেন সাফদারপুর ইউনিয়নে নওশের আলী, কুশনা ইউনিয়নে আবদুল হান্নান, দোড়া ইউনিয়নে কাবিল উদ্দীন, এলাঙ্গী ইউনিয়নে মিজানুর রহমান খান ও বলুহর ইউনিয়নে আবদুল মতিন ।

ঝালকাঠি : সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মজিবুল হক আকন্দ, শেখেরহাটে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নূরুল আমিন খান, নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রেজাউল কবির, কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের আবদুস শুক্কুর মোল্লা, গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা শেরওয়ানী ও বাসণ্ডা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মোবারক হোসেন মল্লিক নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী একেএম জাকির হুসাইন জয়ী হয়েছেন।

ঝালকাঠি : কাঠালিয়ায় ৬টি ইউনিয়নের ৫টিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- চেচরী রামপুর ইউনিয়নে জাকির হোসেন, পাটিখালঘাটায় শিশির দাস, আমুয়ায় আমিরুল ইসলাম, কাঁঠালিয়া সদরে গোলাম কিবরিয়া সিকদার, শৌলজালিয়ায় মাহামুদ হোসেন রিপন ও আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে কামরুজ্জামান লিটন নকীব (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী)। রাজাপুর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- রাজাপুর সদরে আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা, শুক্তাগড় ইউনিয়নে মজিবুল হক মৃধা, সাতুরিয়া ইউনিয়নে সিদ্দিকুর রহমান, গালুয়া ইউনিয়নে মজিবুল হক কামাল, বড়ইয়া ইউনিয়নে শাহ আলম মন্টু ও মঠবাড়ি ইউনিয়নে মোস্তফা কামাল। নলছিটি উপজেলা ১০টি ইউনিয়নের ৫টি ফলাফল পাওয়া গেছে। ৫টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছে। নির্বাচিতরা হলেন-রানাপাশা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, মোল্লারহাটে কবির হোসেন হাওলাদার, কুলকাঠিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান হাওলাদার, নাচনমহলে সিদ্দিকুর রহমান ও কুশঙ্গল ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন। এছাড়া সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জেসমিন আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

দিনাজপুর : ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন- বুলাকিপুর ইউনিয়নে বিএনপির মাহফুজুর রহমান লাবলু, পালশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কবিরুল ইসলাম প্রধান, সিংড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান ও ঘোড়াঘাট ইউনিয়নে বিএনপির তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ।  

সাতক্ষীরা : আশাশুনিতে ইউনিয়ন ১১টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে। এরা হলেন বুধহাটার আনম মোসাদ্দেক, কাটাকাটির দিপঙ্কর কুমার সরকার, সোমনালীর মোনয়েম হোসেন, বড়দলের আলীম মোল্লা, দুর্গাপুরের শেখ নেওয়াজ আলী, হাজরার শাহ নেওয়াজ ডালিম, শ্রীউলার আবু সাকিলুর রহমান, আমুলীয়ার আলমগীর আলম লিটন এবং প্রতাপনগরের শেখ জাকির হোসেন। সদর ইউনিয়নের সম সেলিম রেজা অওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কুল্লার এসএম রফিকুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন বিএনপি থেকে।

কালীগঞ্জে মোট ইউনিয়ন ১২টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮ জন, বিএনপির ২ জন। তারা হলেন ভাড়াসিমলার নূর মোহাম্মদ বিশ্বস এবং নলতার আজিজুর রহমান। জাতীয় পার্টির ১ জন, তিনি হলেন কৃষ্ণনগরের কেএম মোশারফ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মথুরেশপুরের মিজানুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচতি হয়েছেন। বাকী ৮জন আওয়ামী লীগের।

এরা হলেন ধলবাড়িয়ার গাজী শওকত হোসেন, চম্পাদুলের মোজাম্মেল হক, রতনপুরের মো. আশরাফুল হোসেন, মৌতলার সাঈদ হোসেন, দক্ষিণ শ্রীপুরের প্রশান্ত কুমার সরকার, তারালির এনামুল হোসেন ছোট, বিষ্ণপুরে শেখ রিয়াজউদ্দিন, কুশলিয়ায় শেখ মেহেদি হাসান। সাতক্ষীরা সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্র্র্থী ৭ জন জয়ী হয়েছেন। এরা হলেন বল্লীর বজুলুর রহমান, ঝাউডাঙ্গার মো. আজমল উদ্দিন, বুলিহরের মিজানুর রহমান, ভিংড়ির শামসুর রহমান, বৈকারীর আসাদুজ্জামান আসলে, বাশদোহার এসএম মোরশেদ হোসেন এবং ঘোনার ফজলুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তিনজন।

এরা হলেন আগরদাড়ির মজনুর রহমান, ভোমরার ইসরাইল আলী এবং কুশখালীর মো. শফিকুল ইসলাম। বিএনপির ৩ জন হলেন শিবপুরের আবদুল মজিদ, কামবাজপুরের শহিদুল ইসলাম এবং লাবছার আবদুল আলীম। এছাড়া আলপিুরের ফলাফল স্থগীত রয়েছে। শ্যামনগরে স্থগিত রয়েছে ৩টি ইউনিয়ন। এগুলো হল ভূরনীয়া, কৈখালী এবং মুন্সিগঞ্জ। দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরা হলেন আটুরিয়ার আবু সালেহ এবং কাছিমারির এসএম আবদুর রউফ। রমজান নগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আল মামুন জয়ী হয়েছেন। এছাড়া বাকি ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরা হলেন- বুড়িগোয়ালীনীর ভবতোশ মণ্ডল, ঈশ্বরপুরের জিএম শোকর আলী, নূরনগরের শেখ বখতিয়ার আহমেদ, গাবুরার এসএম আলী আজম টিটু, পদ্মকুরার আতউর রহমান এবং সদর ইউনিয়নের এসএম জহুরুল হায়দার।  

তালার ধানজিয়ায় বিএনপি জাহাঙ্গীল আলম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খলিলনগরে এসএম আজিজুর রহমান, সদরে আওয়ামী লীগের সরদার জাকির হোসেন, খালিশখালীতে আওয়ামী লীগের মোজাফফর হোসেন, নগরঘাটায় কামরুজ্জামান লিপু, জালাপুরে বিএনপির মফিদুল হক, ইসলাম কাঠিতে আওয়ামী রীগের সুভাশ চন্দ্র সেন, মাগুরায় আওয়ামী লীগের গনেশ দেবনাথ, খেরশার রাজিব হোসেন, সরুরিয়ার মতিন রহমান এবং তেতুলিয়ার রফিকুল ইসলাম।

এছাড়া কুমিরার ফলাফর স্থগীত রয়েছে। দেবহাটা সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু বকর গাজী, নওয়াপাড়ায় আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান, সখিপুরে আওয়ামী লীগের শেখ ফারুক হোসেন রতন, কুলিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এমদাদুল ইসলাম, পারুলিয়ায় স্থগীত। কলারোয়ার জয়নগরে আওয়ামী লীগের সামছুদ্দিন আল মাসুদ, কয়লায় ইমরান হোসেন স্বতন্ত্র।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে জাসদ ও ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার বহলবাড়িয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের সোহেল রানা, তালবাড়িয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবদুল হান্নান, বারুইপাড়া ইউপিতে জাসদের সাইদুর রহমান, ফুলবাড়িয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম, আমলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা, সরদারপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের রবিউল হক, ছাতিয়ান ইউপিতে আওয়ামী লীগের জসিম উদ্দিন বিশ্বাস, পোড়াদহ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুজ্জামান জন, কুরশা ইউপিতে জাসদের ওমর আলী, মালিহাদ ইউপিতে আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন ও আমবাড়িয়া ইউপিতে জাসদের মশিউর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

খুলনা : খুলনার ৯টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ইউপির ফল পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৪, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১০, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ ১, বিএনপির ৫, বিএনপি বিদ্রোহী ১, স্বতন্ত্র ৩ ও জামায়াতের ১ জন বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া দীঘলিয়া উপজেলার জগীপোলে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তেরখাদা উপজেলার আজুগড়া ইউনিয়নে কৃষ্ণ মেনন রায় (আওয়ামী লীগ), বারাসাত ইউপিতে কেএম আলমগীর হোসেন (আওয়ামী লীগ), ছাগলাদহ ইউপিতে এসএম দীন ইসলাম (আওয়ামী লীগ), সাচিয়াদহ ইউপিতে উকিল উদ্দীন লস্কর (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), মধুপুর ইউপিতে শেখ মো. মহসিন (আওয়ামী লীগ), তেরখাদা সদর ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এসএম ওয়াহিদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ)।
কয়রা উপজেলার সদর ইউপিতে এসএম শফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), মহারাজপুর ইউপিতে আবদুল্লাহ আল মামুন লাভলু (আওয়ামী লীগ), আমাদী ইউপিতে আমীর আলী গাইন (আওয়ামী লীগ), বাগালী ইউপিতে আবদুস সাত্তারপাড় (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), উত্তর বেদকাশী ইউপিতে নুরুল ইসলাম সরদার (আওয়ামী লীগ), দক্ষিণ বেদকাশী ইউপিতে কবি শামছুর রহমান (আওয়ামী লীগ) এবং মহেশ্বরীপুর ইউপিতে বিজয় কৃষ্ণ সরদার (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী)।

দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউপিতে শেখ আবদুল কাদের (আওয়ামী লীগ), দাকোপ ইউনিয়নে বিনয়কৃষ্ণ রায় (আওয়ামী লীগ), কামারখোলা ইউপিতে পঞ্চানন মণ্ডল (আওয়ামী লীগ), তিলডাঙ্গা ইউপিতে রনজিত কুমার মণ্ডল (আওয়ামী লীগ), বাজুয়া ইউপিতে রঘুনাথ রায় (আওয়ামী লীগ), লাউডোব ইউপিতে সরজিত কুমার মণ্ডল (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), কৈলাশগঞ্জ ইউপিতে মিহির কুমার মণ্ডল (আওয়ামী লীগ), বানিয়াশান্তা ইউপিতে সুদেব কুমার মণ্ডল (আওয়ামী লীগ), সুতরখালী ইউপিতে মাসুম আলী ফকির (আওয়ামী লীগ)।

রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউপিতে আশরাফুজ্জামান বাবুল (আওয়ামী লীগ), শ্রীফলতলা ইউপিতে আলহাজ ইসহাক সরদার (আওয়ামী লীগ), নৈহাটি ইউপিতে কামাল হোসেন বুলবুল (আ’লীগ), টিএস বাহিরদিয়া ইউপিতে মো. জাহাঙ্গীর শেখ (আ’লীগ)। ফুলতলা উপজেলার সদর ইউপিতে শেখ আবুল বাশার (বিএনপি), আটরা গিরাতলায় শেখ মনিরুল ইসলাম (আ’লীগ), দামোদর ইউপিতে শরীফ মো. শিপলু ভূঁইয়া (আ’লীগ), জামিরায় মো. সাইফুল ইসলাম (জামায়াত)।

পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউপিতে আবু জাফর সিদ্দিক রাজু (স্বতন্ত্র), কপিলমুনি ইউপিতে মো. শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু (বিএনপি), লতা ইউপিতে চিত্তরঞ্জন মণ্ডল (আ’লীগ বিদ্রোহী), দেলুটি ইউপিতে রিপন মণ্ডল (আ’লীগ), সোলাদানা ইউপিতে এসএম এনামুল হক (বিএনপি), লস্কর ইউপিতে আরিফুজ্জামান তুহিন (আ’লীগ), গদাইপুর ইউপিতে গাজী জুনায়েদুর রহমান (স্বতন্ত্র), রাড়ুলী ইউপিতে মজিদ গোলদার (আ’লীগ), চাঁদখালী ইউপিতে জোয়াদুর রসুল বাবু (বিএনপি) ও গড়ইখালী ইউপিতে রুহুল আমীন বিশ্বাস (আ’লীগ) বিজয়ী হয়েছেন।

দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউপিতে মো. ফিরোজ মোল্লা (আ’লীগ), বারাকপুর ইউপিতে গাজী জাকির হোসেন (আ’লীগ), গাজীরহাটে মোল্লা কামাল সিদ্দিকী হেলাল (আ’লীগ), সেনহাটি ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান (আ’লীগ), আড়ংঘাটা ইউপিতে জিবলু মোড়ল (আ’লীগ) বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া জগীপোলে আওয়ামী লীগের শেখ আনিসুর রহমান এগিয়ে রয়েছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে খান সাকুরউদ্দিন (আ’লীগ), আতলিয়া ইউনিয়নে শ ম আবদুল কাইয়ূম (আ’লীগ), মাগুরঘোনায় শেখ আবুল হোসেন (আ’লীগ), শরাফপুরে শেখ রবিউল ইসলাম রবি (আ’লীগ বিদ্রোহী), ভাণ্ডারপাড়ায় ডা. হিমাংশু বিশ্বাস (আ’লীগ), ডুমুরিয়া সদরে হুমায়ূন কবীর বুলু (আ’লীগ), গুটুদিয়ায় মোস্তফা সারোয়ার (আ’লীগ), মাগুরখালীতে বিমল কৃষ্ণ সানা (আ’লীগ), রুদাঘরায় মোস্তফা কামাল খোকন (আ’লীগ), ধামানিয়ায় রেজোয়ান হোসেন (আ’লীগ), সাহস ইউপিতে জয়নাল আবেদীন (বিএনপি বিদ্রোহী), রংপুর ইউপিতে রামপ্রসাদ জোয়ার্দ্দার (আ’লীগ), শোভনা ইউপিতে সুরঞ্জিত বৈদ্য (আ’লীগ বিদ্রোহী)।

বটিয়াঘাটা উপজেলার সদর ইউপিতে মনোরঞ্জন মণ্ডল (আ’লীগের বিদ্রোহী), গঙ্গারামপুর ইউপিতে শেখ হাদিউজ্জামান হাদী (আ’লীগ), বালিয়াডাঙ্গা ইউপিতে গোলাম হাসান (স্বতন্ত্র), ভাণ্ডারকোর্টে ইসমাইল হোসেন বাবু (আ’লীগ বিদ্রোহী), জলমা ইউপিতে আশিকুজ্জামান আশিক (বিএনপি) ও আমিরপুরে জিএম মিজানুর রহমান মিলন (আ’লীগ)।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলায় মোট ৫০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৯টিতেই নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, বিএনপি ১টিতে ও জাতীয় পার্টির ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৪ জন প্রার্থী জিতেছেন। বাকি ১টির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাউফল প্রতিনিধি শিবলি সাদিক জানান, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ এবং ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী ৯ জন হলেন- রফিকুল ইসলাম তালুকদার (কাছিপাড়া), নেছারউদ্দিন সিকদার জামাল (কালিশুরি), আনিসুর রহমান হাওলাদার রব (ধুলিয়া), মহিউদ্দিন হাওলাদার লাভলু (কেশবপুর), আনোয়ার হোসেন বাচ্চু (সূর্যমনি), শাহিন হোসেন হাওলাদার (কনকদিয়া), আবদুল মোতালেব হাওলাদার (বগা), শামসুল হক ফকির (আদাবাড়িয়া), এসএম ফয়সাল আহমেদ (কালাইয়া)।

বিদ্রোহী দু’জন হলেন- শাহজাদা হাওলাদার (নওমালা) এবং এনামুল হক আলকাচ (চন্দ্রদ্বীপ)। মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৬ জন প্রার্থীই জয়লাভ করেছেন। তারা হলেন- উপজেলার মাধবখালী ইউয়িনে মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে মো. মনিরুল হক (লিটন সিকদার), আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে মো. সুলতান আহম্মেদ, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে মো. আবদুল আজিজ হাওলাদার, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে মো. জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে মো. গোলাম সরোয়ার কিছলু।

কলাপাড়া প্রতিনিধি অমল মুখার্জী জানান, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচনে সবক’টিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা চেয়ারম্যান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- চাকামইয়া ইউনিয়নে হুমায়ূন কবীর কেরামত, টিয়াখালী ইউনিয়নে সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নাসির উদ্দিন মাহমুদ। গলাচিপা প্রতিনিধি মশিউর রহমান বাবুল জানান, ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী আছেন। চরবিশ্বাস নামে অপর ইউনিয়নের ৩টি কেন্দে  নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এই ইউনিয়নের ফল প্রকাশ করা হয়নি।

আমখোলা ইউনিয়নে মনির হোসেন, গোলখালী ইউনিয়নে নাসির উদ্দিন, পানপট্টিতে আবুল কালাম, রতনদি তালতলীতে গোলাম মোস্তফা খান, কলাগাছিয়ায় দুলাল চৌধুরী, গজালিয়ায় খালিদুল ইসলাম, চিকনিকান্দিতে এরশাদ হোসেন বাদল, চরকাজলে সাইদুর রহমান রুবেল, বকুলবাড়িয়ায় আবু জাফর খান, ডাকুয়া ইউনিয়নে বদরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। বিজয়ী একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন গলাচিপা সদরে হাবিবুর রহমান হাদি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। কলাগাছিয়া ইউপির মধ্য কল্যানকলস ভোট কেন্দ্র, ডাকুয়ার পশ্চিম পাড় ডাকুয়া কেন্দ্র, চরবিশ্বাস ইউপির পূর্ব চরবিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর আগস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর আগস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি মো. জাফর খান জানান, সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচিতরা হলেন- বদরপুর ইউনিয়নে মো. লুৎফর রহমান মানিক মিয়া (স্বতন্ত্র), ছোট বিঘাই ইউনিয়নে মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার (আ’লীগ), মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে মুশফিকুর রহমান মিলন মাঝি (আ’লীগ), আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মো. হুমায়ূন কবির (আ’লীগ), লোহালিয়া ইউনিয়নে মো. কবির হোসেন তালুকদার (আ’লীগ), মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে মো. দেলোয়ার হোসেন (আ’লীগ)। তবে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে একটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

দুমকি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচিত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমগীর সিকদার, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে মো. সুলতান হাওলাদার (জাতীয় পার্টি), মুরাদিয়া ইউনিয়নে মো. জাফর উল্লাহ (জাতীয় পার্টি)। রাঙ্গাবালী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। সদর ইউনিয়নে আলহাজ সাইদুজ্জামান মামুন খান, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে হাজী আবদুল মান্নান, চরমোন্তাজ ইউনিয়নে হানিফ মিয়া ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ফজলুর রহমান।

দশমিনা প্রতিনিধি এইচএম ফোরকান জানান, আলীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাদশা ফয়সাল, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. মহিবুল আলম, দশমিনায় আওয়ামী লীগ (বিদ্রোহী) এড. ইকবাল মাহমুদ লিটন, বহরমপুর নৌকা প্রতীকের মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকে মো. আলতাফ হোসেন আকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্র স্থগিত।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে মোট ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পীরনই হাট ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জয়লাভ করেছেন।

পিরোজপুর : মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে একটিতে স্থগিত রয়েছে। বাকি দশটিতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হচ্ছেন- তুসখালীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান হাওলাদার, মিরুখালীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান শরীফ, দাউদখালীতে আওয়ামী লীগের ফজলুল হক খান, চিটিকাটায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদার, বেতজোরে আওয়ামী লীগের দেলোয়ার হোসেন আকন্দ, আমড়াগাছিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল ফরাজী, সাপলেজায় আওয়ামী লীগের মিজার মিয়া, গুলিশাখালীতে আওয়ামী লীগের আলশ ঝনো, বড়মাছুয়ায় আওয়ামী লীগের নাসিরউদ্দিন হাওলাদার।

নাজিরপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোশারফ হোসেন খান, মাটিভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের বেলায়েত হোসেন ঝুনু, মলিখালীতে আওয়ামী লীগের সুমন মণ্ডল মিঠু, শেখমাটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান আতিয়ার এবং শাখারিকাটিতে বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন খান।
 
ভাণ্ডারিয়ায় মোট ৫টি ইউপির মধ্যে একটিতে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বাকি ৪টির তিনটিতে জাতীয় পার্টি জেপি মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- ধাওয়ায় সিদ্দিকুর রহমান টুলু, তেলিখালীতে সাহাদাত হোসেন, গৌরীপুরে মুজিবুর রহমান। এছাড়া ভিটাবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের খান এনামূল করিম নেকি। নেছারাবাদের গুয়ারেখায় আওয়ামী লীগের সুব্রত কুমার ঠাকুর, স্বরূপকাঠিতে আওয়ামী লীগের মো. আল-আমিন, সুটিয়াকাঠিতে আওয়ামী লীগের মো. গাউস মিয়া, সোহাগদলে মো. আবদুর রশীদ, দৈহাড়িতে আওয়ামী লীগের প্রগতি মণ্ডল, জলবাড়িতে আওয়ামী লীগের আশিষ কুমার বড়াল, সমুদয়কাটিতে আওয়ামী লীগের এমকে সবুর তালুকদার, আটঘর কুড়িয়ানায় আওয়ামী লীগের শেখর কুমার সিকদার, বলদিয়ায় বিএনপির মো. শাহিন এবং সারেংকাটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সালাম শেখ। পিরোজপুর সদরে কদমতলায় আওয়ামী লীগের হানিফ খান, কলাখালতে আওয়ামী লীগের দিদারুজ্জামান শিমুল, টোনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং সারিকতলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম। জিয়ানগরের বালিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কবির হোসেন বয়াতী নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোলা : ৭টি উপজেলায় ৩৬টি ইউপির মধ্যে ৩৫টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ৩৫ জনের মধ্যে ২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন। দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ইফতারুল হাসান স্বপন ও দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের মেহেদী হাসান মুকু।

ভোলা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ইয়ানুর রহমান বিপ্লব (বাপ্তা), এমদাত হোসেন কবির (ধনিয়া), মো. বশির আহম্মদ (আলীনগর), মো. জসিম উদ্দিন (শিবপুর), লিয়াকত হোসেন মনসুর (উত্তর দিঘলদী),  মো. গিয়াস উদ্দিন (পশ্চিম ইলিশা), আবদুস সালাম মাল (ভেলুমিয়া), মো. তাজুল ইসলাম (ভেদুরিয়া),  মো. মহিউদ্দিন মাতব্বর (চরসামাইয়া), বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭ ইউনিয়নে  রেজাউল করিম রিয়াজ (গঙ্গাপুর),  মহিবুল্লাহ মৃধা (সাচড়া), আসাদুজ্জামান বাবুল (দেউলা), আবদুর রব কাজী (কচিয়া),  কামরুল হাসান চৌধুরী (টবগী), আলমগীর চৌধুরী (হাসাননগর), নাজমুল আহসান (কুতুবা)। তজুমদ্দিন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ফজলুল হক দেওয়ান (শম্ভুপুর), মো. ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর (চাঁদপুর), রিয়াজ হোসেন হান্নান (চাচড়া)।  

চরফ্যাশন উপজেলার  চরমাদ্রাজ ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক জমাদার (চরমাদ্রাজ), মাহবুব আলম খোকন (এওয়াজপুর), কাউছার মাস্টার (চরকলমী), আলহাজ ইউনুছ নসু মিয়া (জাহানপুর), ঢালচরে  আ. ছালাম হাওলাদার (ঢালচর), বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমীন (নজরুল নগর), সেলিম হাওলাদার (হাজারীগঞ্জ), লালমোহন উপজেলায় হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু (ধলিগৌরনগর), মো. শাহজাহান মিয়া (লালমোহন)। মনপুরা উপজেলার শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক (হাজিরহাট)। দৌলতখান উপজেলায় মোশারফ হোসেন (চরপাতা), একেএম নাছির উদ্দিন নান্নু (মদনপুর), মনজুর আলম (মেদুয়া), মো. ইয়াছিন লিটন (উত্তর জয়নগর), মো. আলমগীর (দ. জয়নগর), মেহেদী মাসুদ মুকু (চরখলিফা)।

মাদারীপুর : মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মোট ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়। বাকি ৬টি ইউপির ছয়টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়। বিজয়ীরা হলেন রাজন মাদবর (শিবচর) পাঁচ্চর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, আবুল বসার মুন্সি (বাঁশকান্দি), মাহফুজুল করিম (দ্বিতীয়া খণ্ড), বজলুর রহমান সরদার (চরজানাজাত) ও কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের মহসীন উদ্দিন।

এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন কুতুবপুর ইউনিয়নের আতিকুর রহমান, শিরুয়াইল ইউনিয়নের মুরাদ হাওলাদার। দত্তপাড়া ইউনিয়নের মুরাদ মিয়া, মাদবরচর ইউনিয়নের চৌধুরী সুলতান মাহমুদ, বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের মো. জাকির হোসেন হায়দার, বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের অলি উল্যাহ, নিলখী ইউনিয়নে মো. ওয়াসিম, কাদিরপুর ইউনিয়নে বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, বন্দরখোলা ইউনিয়নে নিজাম উদ্দিন বেপারী, ভাণ্ডারীকান্দি ইউনিয়নে শওকত হোসেন নান্নু।

বরিশাল : বরিশালের বানারীপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে ও একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এরা হলেন বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী আবদুল জলিল ঘরামী, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নে জিয়াউল হক মিন্টু, চাখার ইউনিয়নে খিজির সরদার, বাইশারী ইউনিয়নে মাইনুল হাসান মহম্মদ, ইলুহার ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম, বিশারকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম শান্ত, সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে আবদুল মন্নান মৃধা ও উদয়কাঠী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাহাদ আহম্মেদ ননী নির্বাচিত হন।

এছাড়া উজিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরা হলেন আবদুল খালেক (সাতলা), শহিদুল ইসলাম (বড়াকোঠা), বিশ্বজিৎ নান্টু (জল্লা) হড়েন রায় (হারতা), অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন (ওটরা), কাজী কবির হোসেন (শোলক), মো. ইউসুব হোসেন (বামরাইল)।

এছাড়া বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়ন মশিউর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টি মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়ন মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, আওয়ামী লীগ, জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন আবুল হাসেম হাওলাদার, আওয়ামী লীগ, মুলাদী উপজেলা সদর ইউনিয়ন কামরুল আহসান, আওয়ামী লীগ। ছবিপুর ইউনিয়ন, আবদুল মুসা হিমা মুন্সি, আওয়ামী লীগ। চরকালেখা ইউনিয়ন  মহসিন উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ। গাছুয়া ইউনিয়ন মোকছেদ আলম মীর, জাতীয় পার্টি। কাজিরচর ইউনিয়ন মন্টু বি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে