বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬, ০৯:৪৮:০৪

ভোট কেড়ে নিল ২১ জনের প্রাণ, আহত কয়েক হাজার

ভোট কেড়ে নিল ২১ জনের প্রাণ, আহত কয়েক হাজার

নিউজ ডেস্ক : ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। সংঘর্ষ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রথম ধাপের ভোটে মঙ্গলবারই অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। ইউপি নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১০ জন নিহত হন। ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২১।

মঙ্গলবার নিহত ১১ জনের মধ্যে রাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৫ জন, কক্সবাজারের টেকনাফে ২ জন, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনায় একজন করে নিহত হয়েছেন।

মঠবারিয়ায় স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে রাতে সেখানে একটি কেন্দ্রে পোলিং অফিসারকে আটক করে রাখা ও তার কাজে বাধা দেয়ার ঘটনার এক পর্যায়ে সেখানে গুলি চালায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা।

এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো দুজন মারা যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যাচ্ছে। তাদের বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে টেকনাফের পুলিশ বলছে, সাবরাং ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে রাতে ভোট গণনার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন এবং এর কিছু পরে একই ইউনিয়নের আরেকটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আর একজন নিহত হয়।

সিরাজগঞ্জ, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনাতেও আইন শঙ্খলা রক্ষাকাারী বাহিনীর গুলিতে একজন করে নিহত হয়েছেন।

প্রথম পর্বের এই নির্বাচনকে ঘিরে সারাদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নে দুজন নির্বাচনী কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সারাদেশ জুড়ে আহত হয়েছে পুলিশের অনেক সদস্য।

বাংলাদেশে এই প্রথম তৃণমূলের এই স্তরে রাজনৈতিক ভাবে বা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলো। প্রথম ধাপে সারাদেশে ৩৬টি জেলায় ৭১২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নির্বাচন কমিশন ৫৬টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে। দেশে চার হাজারের বেশি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে জুন মাস পর্যন্ত এই নির্বাচন হবে।

গতকাল ৭১২টি ইউপিতে নির্বাচন হয়েছে। রাত একটা পর্যন্ত পাওয়া ২২৪টির বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ১৭৭টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ১১, বিএনপি ১৮, বিএনপির বিদ্রোহী চার, জাতীয় পার্টির দুই এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এই ধাপে ৫৪টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। গতকাল নির্বাচন চলাকালে প্রায় অর্ধশত প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
২৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে