বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬, ০২:০৫:৪৫

৭ দিন পর যেভাবে ঘরে ফিরলেন সেই তানভীর জোহা

৭ দিন পর যেভাবে ঘরে ফিরলেন সেই তানভীর জোহা

নিউজ ডেস্ক : রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া ৭ দির পর সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহাকে পেয়েছে তার পরিবার। তানভীর জোহার চাচা মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলাবার গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তানভীরকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ।

তিনি জানান, গভীর রাতে এয়ারপোর্ট এলাকায় উদভ্রান্ত অবস্থায় তানভীর ঘুরছিলেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দিয়ে যায়।

গত বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে জোহাকে গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘরে ফেরে জোহা।

বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এক সপ্তাহ তিনি কোথায় কীভাবে ছিলেন তা জানা যায়নি।

জোহার চাচা মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, গতরাত আনুমানিক একটা থেকে দুটার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জোহাকে তাদের কলাবাগানের বাসায় পৌঁছে দেন। সম্ভবত ডিবির লোক ছিল তারা। তারা বললেন, জোহাকে এয়ারপোর্ট এলাকায় উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে তারা সনাক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, জোহাকে এ ব্যাপারে এখনো কিছু জিজ্ঞাসা করেন নি তারা। তাকে আমরা বিশ্রামে রেখেছি। তার মানসিক স্থিতি সবার আগে প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন তানভীর হাসান জোহা, যিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইনসাইড বাংলাদেশ ফাউনডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশের ইঙ্গিত দেন। এরপরই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে আইনী সহায়তা চাইতে গেলে তিনটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় নয় বলে ফিরিয়ে দেয়।

জোহার শ্যালক মাহমুদ হাসান চৌধুরী বলেছিলেন, নিখোঁজের পর কেউ পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেনি। নিখোঁজের পর থেকে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথম থেকেই তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোহা  জানান যে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সাইবার নিরাপত্তা’ প্রকল্পে কাজ করতেন।

জোহার স্ত্রী কামরুন নাহার বলেছেন, তার স্বামী বাংলাদেশের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেই তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা দিতে কাজ করেছেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে