বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬, ০৭:০৯:৪০

সাইফুরসে ভালো ইংরেজি শিখলে চোর হতে পারবা : শিক্ষামন্ত্রী

সাইফুরসে ভালো ইংরেজি শিখলে চোর হতে পারবা : শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে ‘দক্ষ হ্যাকার তৈরি’র বিতর্কিত বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছে কোচিং সেন্টার ‘সাইফুরস।' আজ বুধবার সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং কমিটির সভায় ওই বিজ্ঞাপনের কঠোর সমালোচনা করে ‘সাইফুরসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মন্ত্রী বলেন, সাইফুরস নামে বিখ্যাত একটি কোচিং সেন্টার একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে।  সেই বিজ্ঞাপনে তারা বলেছে, ভালো ইংরেজি না জানতে পারলে ভালো লেখাপড়া করতে পারবে না, বিদেশে যেতে পারবে না।  ভালো ডাক্তার, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।  এমনকি ভালো হ্যাকারও হতে পারবে না।

তিনি বলেন, হ্যাকার হওয়ার জন্য তার কাছে গিয়ে পড়তে হবে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।  এটা অবশ্যই বেআইনি, এটা দিতে পারে না।  আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  

‘‌এর আগে ‘English-এর ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া! শিরোনামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে সাইফুরস’।

বিবিসিকে উদ্ধৃত করে ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘হ্যাকিংকৃত ডলার শ্রীলংকাতে স্থানান্তরের সময় `Foundation’ শব্দকে `Fandation’ লেখাতে বিদেশি Deutsche ব্যাংকের সন্দেহ হয়।  তারা বাংলাদেশ ব্যাংকেকে জানালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চিন্তা করে দেখেন, এ কোচিং সেন্টার কত অধঃপতনে নেমেছে।  সে কত মানুষকে বিভ্রান্ত করে আস্থা আর্জন করেছে, মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে সেখানে তার বাচ্চাকে পড়াচ্ছে।  

তিনি বলেন, এমন একজন মানুষ বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রে বলছে যে, ভালো হ্যাকার হতে হলে ভালো ইংরেজি শিখতে হবে।  সাইফুরসে এসে ভালো ইংরেজি শিখে যাও, ভালো চোর হয়ে যাবে।  এ রকম লোকের বিরুদ্ধে যদি আমরা সোচ্চার না হই তাহলে কীভাবে সমাজে থাকব।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমি বলতে বাধ্য হলাম।  অবস্থা এ রকম পর্যায়ে চলে গেছে যে, এদের বিরুদ্ধে আমরা সহনশীল হতে পারি না।  তারা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন ভালো ইংরেজি শিখলে চোর হতে পারবা, ভালো করে হ্যাকিং করতে পারবা।’

গত ৫ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিং করে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) সরিয়ে নেয়া হয় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে।  এ নিয়ে স্বেচ্ছায় সরে যেতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে।
২৩ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে