নিউজ ডেস্ক : সারাদেশে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হচ্ছে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সুচনা হয়েছিলো।
তবে মূলত ২৫শে মার্চ রাতেই অপারেশন সার্চলাইট নামে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সামরিক অভিযান শুরু করেছিলো পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ।
আর ২৫শে মার্চের ওই গণহত্যার পরপরই শুরু হয়ে যায় সর্বাত্মক প্রতিরোধ অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ । ভয়াল সেই ২৫শে মার্চ স্মরণে গত রাতে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'আলোর যাত্রা' কর্মসূচি।
আলোর পথযাত্রা গানটি দিয়ে মুখরিত হয়েছিল মানিক মিয়া এভিনিউ, সংসদ ভবন প্রাঙ্গনসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা। মোমবাতি হাতে ২৫শে মার্চের ভয়ার রাতকে স্মরণ করতে এসেছিল শত শত মানুষ।
আয়োজকরা বলছেন অন্ধকার পেরিয়ে আলোর জয়োৎসবে এটা ছিল আলোর মিছিল, যেখানে অংশ নিয়েছে নানা বয়সী নানা শ্রেণীর মানুষ। কেন মানুষের এই অংশগ্রহণ?
সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আরাফাত জাহান রাতু বলছিলেন, এই দিনটি অনুভবে মিশে আছে, এটা বলে বোঝানো যাবেনা। এ আলো বাংলাদেশের জন্য।
অন্যদিকে মাস্টার্সের ছাত্র তোফায়েল আহমেদ বলছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হলেও এখনও যে অন্ধকার আছে তা যেন আলো দিয়ে ভরে দেয়া যায় সেই কামনা করতেই এখানে আসা। এই আলোর যাত্রা কর্মসূচিতে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের কাছে স্বাধীনতার তাৎপর্য কী?
ব্যবসায়ী শেখ খোরশেদ আলমের কাছে স্বাধীনতা হলো স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলা। তিনি মনে করেন স্বাধীনতা না পেলে স্বাধীনভাবে নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার হারাতেন সবাই।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের ভয়াল সেই রাতকে স্মরণে আলোর মিছিলের এই উদ্যোগ নিয়ে আয়োজকরা বলছেন বাঙালী যেন স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণাকে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্যই এই কর্মসূচি।
তারা বলছেন-সকল বাধার মুখে বহুদুরের যাত্রায় স্বাধীনতার এই আলোর প্রদীপ অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।
২৬ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস