সীমান্ত প্রধান : পড়াশোনায় ভালো। সংস্কৃতির প্রতিও ছিলো তার অত্যন্ত ঝোক। ভিক্টোরিয়া কলেজেই নাট্যকর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করেছিলো মেয়েটি। মেয়ের আগ্রহ দেখে তাকে কখনোই সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে রাখেননি তার বাবা ইয়ার হোসেন।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণও করতো। তার ইচ্ছেও ছিলো পড়াশোনা শেষ করে এই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের স্কুলে নাচের শিক্ষক হবেন। এমন স্বপ্ন ছিলো তার। কিন্তু তা আর হলো কই? এর আগেই হায়েনার দল খুবলে খুবলে খেলো তার স্বপ্ন। ধ্বংস করে দিলো একটি পরিবার। রচনা করলো একটি ঘৃণিত ইতিহাস।
বলছিলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর কথা। খুব বেশি বড় স্বপ্ন মেয়েটি কখনোই দেখতেন না। সংস্কৃতির প্রতি অগাধ টান থেকেই সাদা-মাটা জীবন যাপন ছিলো তার স্বপ্ন। স্বপ্ন ছিলো সব সময় শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে যাওয়া এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির একজন সেবিকা হওয়ার।
কাঁদতে কাঁদতে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে সোহাগীর বাবা ইয়ার হোসেন বললেন, ‘আমি তো আমার মেয়ের খুনের বিচার চাই। আমার থাইকা নাম জানতে চায়। আমি কার নাম বলব।’
চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘তনু আমার একমাত্র মেয়ে। সে নাচগান করতে ভালোবাসত। কোনো দিন তার কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখিনি। পড়ালেখা শেষ করে সে সেনানিবাসের ভেতরের স্কুলগুলোয় নাচগানের শিক্ষক হতে চেয়েছিল।’
উল্লেখ্য, লোচিত সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৭ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন