নিউজ ডেস্ক : ফার্নেস অয়েলের পর এবার অন্য জ্বালানি তেলের দামও কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সপ্তাহে দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
জ্বালানি তেলের দাম কমাতে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ফার্নেস অয়েলের দাম কমায় সরকার। প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।
অন্য জ্বালানির দাম কমানো হবে কি না জানতে চাইলে সোমবার গণমাধ্যমকে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমরা তেলের দাম কমাতে যাচ্ছি। সবগুলোর দামই কমবে। তবে ধাপে ধাপে কমবে। দুই থেকে তিন ধাপে কমবে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি আগে দেখতে ; ১০ টাকা বা পাঁচ টাকা যদি কমানো হয় তাহলে বাজার কী রকম আচরণ করে। জ্বালানির দাম কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি আগামীকাল হয়তো লিখিত নির্দেশনা দিয়ে দেব।
বিশ্ব বাজারে গত দেড় বছর ধরে তেলের দরপতন চলার কারণে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমানোর দাবি ওঠে।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পক্ষে মত দেয় ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তখন প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল বিক্রি হতো ৬০ টাকা, যা বৃহস্পতিবার কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়।
৪ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম