মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৫৩:৫৬

‘পরের ধাপগুলোতে নির্বাচন আরো গ্রহণযোগ্য হবে’

‘পরের ধাপগুলোতে নির্বাচন আরো গ্রহণযোগ্য হবে’

নিউজ ডেস্ক : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের অনিয়ম ও সহিংসতা নিয়ে গণমাধ্যম ও টক শোতে বিভ্রান্তিমূলক আলোচনা চলছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ ছাড়া সবার সহযোগিতায় তৃতীয় ধাপ থেকে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচন আরো গ্রহণযোগ্য করতে কমিশন সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার ইসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকায় ও টিভি টক শোতে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক আলোচনা চলছে। ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বন্ধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে সচেতন এবং সতর্ক করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেল।

কারণ একই সঙ্গে তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে, দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন করলে বা ব্যর্থ হলে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য এরই মধ্যে কেন্দ্র রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১ জন এএসআইকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগে ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে যাদের প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে তাদের এবং অন্যান্য দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছয়জন ওসি ও একজন এসপিকে কমিশনে তলব করে সতর্ক করা হয়েছে। তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন জেলা নির্বাচন অফিসার ও একজন উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থক ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১৩০ জনকে ৪,১৭,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কয়েকজনকে নির্বাচনী এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই কমিশনের অনুরোধে নির্বাচনী এলাকায় যাননি।

প্রথম পর্যায়ে ৬৮৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হওয়ায় ৬৫টিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে, যা মোট কেন্দ্রের মাত্র ০.৯৪ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৮৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে বন্ধ হয়েছে ৩৭টি, যা মোট কেন্দ্রের মাত্র .০৫০ শতাংশ। এতে দেখা যায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে কেন্দ্র স্থগিতের সংখ্যা কমে গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বেসরকারি টেলিভিশনগুলো ভোটগ্রহণের দিন সার্বক্ষণিকভাবে ভোটের দৃশ্য দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে। সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মহিলা ও বৃদ্ধ ভোটারদের সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিতে দেখা গেছে। এর সঙ্গে কিছু কিছু কেন্দ্রে ও কোথাও কোথাও কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। যেখানেই ভোট কারচুপি বা সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে, সেখানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

কমিশন দৃঢ়তার সঙ্গে ভোটার এবং দেশবাসীকে জানাচ্ছে যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আগামী নির্বাচনগুলোতেও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে—যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। কমিশন আশা করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় পরবর্তী পর্যায়ে আরো অধিকতর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। -কালেরকণ্ঠ
৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে