বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:০৫:০৫

বৈশাখে ইলিশ মাছ কম খাওয়ার পরামর্শ

বৈশাখে ইলিশ মাছ কম খাওয়ার পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের মার্চ মাসে এমনিতেই বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার। বিশেষ করে চিনি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তার ওপর এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার আরো বাড়বে। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়তি দামে ইলিশ মাছ কেনার কারণেই এ মাসে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে মূল্যস্ফীতি।

এতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সেই জন্য বৈশাখে ইলিশ মাছ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এমনিতেই ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি হার বেড়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের দেয়া ৫ হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মার্চ মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার আরো একধাপ বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

তবে বাড়ি ভাড়াসহ আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমেছে। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, মার্চে যা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভা শেষে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের দেয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চিনি ও গরুর মাংসের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে এপ্রিল মাসে বৈশাখী ইলিশ মাছের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে। তাই বৈশাখ মাসে ইলিশ মাছ কম খান।

তবে বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হারও। ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, মার্চ মাসে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যায়যায়দিন
৬ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে