বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:৩৫:০২

বোকা বানাচ্ছে সেই দম্পতি, লোপাটের অর্থ ফেরত পাঠানো নিয়ে বিতর্ক

বোকা বানাচ্ছে সেই দম্পতি, লোপাটের অর্থ ফেরত পাঠানো নিয়ে বিতর্ক

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৭-১৮ মিলিয়ন এখনও মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের ভেতর আছে বলে তৃতীয় শুনানিতে দাবি করেছিলেন কিম ওং।

গতকালের চতুর্থ শুনানিতে সিনেট প্রো টেমেপার রালফ রেক্টর ফিলরেমের মালিক মাইকেল বাতিস্তাকে প্রশ্ন করেন, তারা ওই টাকা ফেরত দেবেন কিনা। তখন মাইকেল বাতিস্তা বলেন, আমাদের কাছে কোনো টাকাই নেই। সব ফিরিয়ে দিয়েছি। বাতিস্তার স্ত্রী ও ফিলরেমের প্রেসিডেন্ট সালুদ এর আগে বলেছিলেন, দেগুইতোর সুপারিশে তারা ৬০ কোটি পেসো ও ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ওয়েইকাং শু’র কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

দেগুইতোর দাবি ছিল, কোন ওয়েইকাং-কে তিনি চেনেন না। বাতিস্তাকে ওয়েইকাং-এর ছবিও তিনি দেখান নি। সিনেটর তিওফিস্তা গুইঙ্গোনা গতকাল শুনানিতে বলেন, এ দম্পতি প্রথম থেকে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা (বাতিস্তা দম্পতি) শপথের অধীনে কথা বলছেন। আমাদের মনে হচ্ছে আপনারা আমাদের বোকা বানাচ্ছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন মাইকেল বাতিস্তা।

এদিকে ব্যবসায়ী কিম ওং যে অর্থ এএমএলসি’র জিম্মায় রেখেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে সিনেটে। বিশেষ করে এ অর্থ বাংলাদেশের কাছে পাঠাতে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন হবে কিনা, তা নিয়ে। এএমএলসি পরিচালক জুলিয়া আবাদ বলেন, কিম ওং সম্মতি দিলে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন হবে না। তবে কিম ওং-এর আইনজীবী আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তার যুক্তি, ওই অর্থ কার, তা এখনও প্রমাণিত নয়। তাই আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া উচিত।

চার অ্যাকাউন্টের রেকর্ড প্রকাশে সম্মত আরসিবিসি
এদিকে আরসিবিসি ব্যাংক যে চারটি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছিল তার সব রেকর্ড প্রকাশ করতে সম্মত হয়েছে আরসিবিসি। গোপনীয়তা আইনের অধীনে এতদিন ওই অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য কাউকে দেয়া হয় নি। শুনানিতে সিনেটর বাম আকুইনো ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অফিস (এলটিও) থেকে দেয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ভুয়া বলে তথ্য প্রমাণ হাজির করেন। ওই ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে আরসিবিসির জুপিটার শাখায় ওই চারটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমি যে প্রমাণ হাজির করেছি তাতে দেখা যায় ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্টগুলো খোলা হয়েছিল। সেহেতু আমি আশা করি আরসিবিসি এখন এসব অ্যাকাউন্টের যাবতীয় রেকর্ড উন্মুক্ত করে দেবে। আরসিবিসির লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি বিষয়ক প্রধান মাসেল এস্তাভিলো এ সময় বলেন, ওই চারটি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত আরসিবিসি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী উইলিয়াম সো গোর ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়েও কথা বলা হবে। -এমজমিন
০৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে