নিউজ ডেস্ক : অর্থপাচারের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস করে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ আগামী ৪ মে ধার্য করেন।
মামলার শুনানিতে হাজির হতে আদালতের জারি করা সমন তারেকের লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালত আদেশে বলেন, তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও তিনি আদালতের আদেশ পালন করেননি।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। তিনি আদালতকে জানান, লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশন সমন পাঠানোর বিষয়টি বাস্তবায়ন করলেও তারেক রহমানের কোনো সাড়া মেলেনি।
খুরশীদ আলম খান বলেন, আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক। আদালত আপিল শুনানির জন্য ৪ মে দিন ধারর্য করেছেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয় সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।
তারেকের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ওই বছর ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে গত বছর ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে আসামি তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।
মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আত্মসমর্পণ করলে তিনি জামিন চাইতে পারবেন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
জজ আদালতের রায়ে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেকের হিসাব বিবরণীতে তার উল্লেখ রয়ছে। তিনি যে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন তা প্রমাণ হয়নি।
০৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস