বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:০৮:২৩

জাসদের ‘মশাল’ নিয়ে ইসিতে শুনানি

জাসদের ‘মশাল’ নিয়ে ইসিতে শুনানি

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুই অংশই নিজেদের ‘মূল জাসদ’ দাবি করায় নির্বাচনী প্রতীক ‘মশাল’ কোন অংশ পাচ্ছে তা নির্ধারণে উভয় পক্ষকেই শুনানিতে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ শুনানিতে প্রথমেই অংশ নিয়েছেন একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৩টায় অপর পক্ষের মঈনুদ্দীন খান বাদল ও শরীফ নুরুল আম্বিয়ার শুনানিতে বসবে ইসি।

বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের কনফারেন্স রুমে এ শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদসহ চার কমিশনার, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা।

এর আগে নিজেদের ‘মূল জাসদ’ দাবি করে নির্বাচনী প্রতীকের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ‘দলিলপত্র’ জমা দিয়েছে দুই পক্ষ। এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে গেছে এক পক্ষের।

গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের কমিটির পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের আলাদা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, মশাল নিয়ে ‘দৌঁড়ের উপর রয়েছে’ জাসদের দু’পক্ষই। ইসির নির্দেশনা অনুসারে সম্মেলনের কার্যবিবরণী তৈরি করে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে দুই পক্ষই তাদের দলিলপত্র কমিশনে পৌঁছে দিয়েছে।

এদিকে জাসদের আলাদা কমিটি হওয়ার পর থেকে দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। প্রার্থী মনোনয়নে প্রত্যয়ন ক্ষমতা নিয়েও দলটিতে তৈরি হয়েছে ‘বিভক্তির জটিলতা’। দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে নতুন জটিলতা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় ইসিও সিদ্ধান্ত নিতে তৎপর।

এই পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১৩ নম্বর দল জাসদের প্রতীক মশাল ও দলীয় নিবন্ধনের দাবি নিয়ে দু’পক্ষের বক্তব্য শুনতে বুধবার তাদের ডেকেছে ইসি। সকালে ইনু-শিরীন ও বিকালে বাদল-প্রধানের শুনানির সূচি রয়েছে।

মঙ্গলবার ইনু-শিরীন কমিটির পক্ষে তাদের দাবি ও দলিলাদি নিয়ে কমিশনে যান সাজ্জাদ হোসেন। আর বাদল-আম্বিয়া-প্রধানের পক্ষের দলিলাদি নিয়ে যান নাজমুল হক প্রধান।

দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ের ঠিকানা, ওয়েবসাইট ও ই মেইল ব্যবহার করে একপক্ষের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে শিরীন আখতারের স্বাক্ষরে।

এতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (২০১৬-১৮) তালিকা, কার্যবিবরণী, সভার সিদ্ধান্ত, ইসির প্রতিবেদন, গঠনতন্ত্রের কপি এবং কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে অপর পক্ষের কমিটি ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদের ক্লিপিং ও ভিডিও ক্লিপিং যুক্ত করা হয়েছে।

১২ মার্চের জাতীয় সম্মেলনে হাসানুল হক ইনু-শিরীন আখতারের কমিটি গঠনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৬-১৮ মেয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও স্থায়ী কমিটি রাত ২টা ১০ মিনিটে অনুমোদিত হয়েছে।

জাসদের আরেক অংশ সংসদ ভবনের এক নম্বর ব্লকের ৫ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে দেখিয়ে ইসিতে কাগজপত্র জমা দিয়েছে।
০৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে