বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:২২:১১

‘মশাল আমার, কেড়ে নেয়া যাবে না’

‘মশাল আমার, কেড়ে নেয়া যাবে না’

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল বলেছেন, যারা মশাল নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে মশাল কেড়ে নেয়া যাবে না। মশাল আমার প্রতীক।

বুধবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতীক নিয়ে বিরোধের শুনানি শেষে সংসদ সদস্য মঈনুদ্দীন খান বাদল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির গত ১২ মার্চের কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন হাসানুল হক ইনু। সেই কাউন্সিলে যে অগণতান্ত্রিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে সাধারণ সম্পাদক (শরীফ নুরুল আম্বিয়া) কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় আমাদের দুটো পথ খোলা ছিল। প্রথমত সরাসরি সংঘাতে যাওয়া, দ্বিতীয়ত গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান মেনে কাউন্সিল পরিত্যাগ করা। সে মোতাবেক পরিত্যাগ করেছি আমরা।


মঈনুদ্দীন খান বাদল বলেন, জাসদের কাউন্সিলর সংখ্যা ১,২৩৬ জন। সেখানে শিরীন আখতার ৬০৩ ভোট পেয়েছেন, বাকিরা কোথায় গেছেন? জাসদে ছয়জন এমপি আছেন। ৪ জন আমাদের সঙ্গে। যারা আছেন তারা হলেন লুৎফা তাহের, রেজাউল করিম তানসেন, মঈনুদ্দীন খান ও নাজমুল হক প্রধান।

তিনি বলেন, জাসদের সর্বোচ্চ কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন, একজন নিরপেক্ষ এবং একজন অসুস্থ। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৭ জনই আমাদের সঙ্গে আছেন। সারাদেশের সাংগঠনিক ৭৯টি জেলা কমিটির মধ্যে ৪০টি আমাদের সমর্থন করেছে। বাকিরা মিশ্রিত। শুনানিতে আমরা সেসব তালিকাও নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি।

বাদল বলেন, মশাল প্রতীক আমরাই পাবো। জাসদের যে ছয়জন সংসদ সদস্য আছেন, তাদের মধ্যে দু’জন সরাসরি মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও রেজাউল করিম তানসেন মশাল নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এগুলো বিরাট ফ্যাক্টর।

তিনি বলেন, আমরাই মূল জাসদ। এটা বারবার জোরে জোরে বলার দরকার নেই। চলমান ইউপি নির্বাচনে আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী দিয়েছি। মশাল প্রতীকের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছেন তারা। তারা নির্বাচিত হওয়ার পর কতজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন তা তালিকা দিয়ে জানাব।

বাদল বলেন, দলীয় কার্যালয় দখলে যে ইতরামি হয়, মারামারি হয়, সে প্রক্রিয়ায় আমরা যাব না। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় অফিস দখলে যাব।

বিকেল ৩টায় শুনানি শুরু হয়ে বিকেল চারটায় শেষ হয়। এতে দলটির একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানসহ অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদের অংশের সঙ্গেও শুনানি করে ইসি। শুনানি শেষে ইনু ইসির কাছে সুবিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ১২ মার্চ দলটির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাসদে ফাটল ধরে।  আম্বিয়ার নেতৃত্বে একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজেরা একটি কমিটি গঠন করে।

ইনুর নেতৃত্বেও একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু চলমান ইউপি নির্বাচনে দু’পক্ষই তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ‘মশাল’ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানায়। তা
৬ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে