নিউজ ডেস্ক : নিহতের তালিকায় আরো এক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা, যিনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন।
নিহত নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৬) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন ছাত্র ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে সূত্রাপুরের একরামপুরে তাকে নিহত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাজিমের বাড়ি সিলেটে। ফেইসবুক পাতায় তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। গণজাগরণ আন্দোলনের সিলেটের সংগঠক হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন বলে বন্ধুরা জানিয়েছেন।
নাজিমুদ্দিন সামাদের ওপর আক্রমণের সময় তার সঙ্গে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউথ ইস্টের শিক্ষার্থী নাজিবের ওপরও আক্রমণ হয়। সৌভাগ্যক্রমে নাজিব বেঁচে যান। ফেইসবুক বন্ধুরা লিখেছেন, হেঁটে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন নাজিম। হামলাকারীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে আক্রমণ করেছিল।
ডিএমপির ওয়ারি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নুরুল আমীন বলেন, রাত ৯টার দিকে সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে দুর্বৃত্তরা নাজিমকে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজিমের ফেইসবুক পাতায় লেখায় উগ্রবাদীদের সমালোচনা দেখা যায়। তিনি নিজের পরিচয়ে লিখেছেন, নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের অনুসারী নন তিনি।
সাম্প্রতিক সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েও লিখেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই সমর্থক নিজের দলের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। গত ২ এপ্রিল এক পোস্টে নাজিম আওয়ামী ওলামা লীগ নিয়ে লেখেন, “আওয়ামী ওলামা লীগ আর বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দুই বিপরীত মেরুর দুই বাসিন্দা। ওলামা লীগ কখনোই বাহাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান চায়নি এবং চাইবে না।”
৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস