বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:১৭:০৪

৩০ মিনিটের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড যশোর-খুলনা: নিহত ৬, আহত কয়েক শ’

৩০ মিনিটের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড যশোর-খুলনা: নিহত ৬, আহত কয়েক শ’

নিউজ ডেস্ক : ৩০ মিনিটের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যশোর ও খুলনা। কালবৈশাখীর ঝড়ে মঙ্গলবার যশোরে ৪ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এদিকে খুলনায় দেয়াল ধসে নিহত হয়েছেন একজন। বাগেরহাট ও যশোরের মণিরামপুরে আহত হয়েছে ৩০ জন।

যশোর : মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে মারা যান যশোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৮০) ও অভয়নগর উপজেলার ধুলগ্রামের লক্ষ্মীকান্ত (৪০)। ঝড়ে আতঙ্কিত হয়ে মারা যান যশোর শহরের চোরমারা দীঘিরপাড় এলাকার পারভীন (৩৫) ও উপশহর এলাকার জামেলা বেগম (৪০)। আহত ৫০ জনের মধ্যে আটজন শংকরপুর এলাকার নির্মাণাধীন আইটি পার্কের শ্রমিক। এছাড়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শত শত কাঁচা ও টিনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে হাজার হাজার গাছ। আম, লিচু, ধানসহ বিভিন্ন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় পুরো যশোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টেলিফোন লাইন। রাস্তার পাশের গাছ ভেঙে পড়ার কারণে যশোরের প্রায় সব সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

মণিরামপুর (যশোর) : সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মণিরামপুরের ১৭টি ইউনিয়নের শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, ফসল (ধান-সবজি) ও গাছপালার (পেঁপে, কলা, আম, লিচু) ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।

চুয়াডাঙ্গা : ঝড়ে ঘরের মাটির দেয়াল চাপা পড়ে আলমডঙ্গা উপজেলার মাঝহাদ গ্রামের মৃত মহিরউদ্দিন শেখের স্ত্রী ছহিরন নেছা (৭০) মারা যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়বৃষ্টিতে অনেক কাঁচা ঘর ধসে পড়ে, ঘরের টিন উড়ে যায়। মাঠের পাকা ধান ও ভুট্টাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে মঙ্গলবার সারা রাত চুয়াডাঙ্গার প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

বাগেরহাট : মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বাগেরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীতে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে। মাঠের পাকা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং অর্ধশতাধিক খুঁটি উপড়ে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাট-খুলনা ও খুলনা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

খুলনা : মাত্র ১০-১৫ মিনিটের ঝড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ১২ ঘণ্টায় কাটিয়ে উঠতে পারেনি মহানগরী খুলনা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীতে নগরীর টুটপাড়া এলাকায় দেয়ালচাপা পড়ে আব্দুর রহিম নামে এক মুড়ি কারখানার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
০৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে