ঢাকা : দুর্বৃত্তদের হাতে খুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ওই স্ট্যাটাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগে দেয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘সরকার, এবার একটু নড়েচড়ে বসো বাবা। দেশের যা অবস্থা, আইন-শৃঙ্খলার যা অবনতি তাতে গদিতে বেশিদিন থাকা সম্ভব হবে না।
সামাদ লিখেছিলেন, ‘জনরোষ বলে একটা কথা আছে। এটার চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে না চাইলে এক্ষুণি কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। নতুবা দিন ফুরিয়ে আসবে খুব দ্রুত।’
এদিকে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদের বর্বর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আহ্বান জানান বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস।
তিনি বলেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যায় সম্প্রতি ছেদ পড়লেও এ হামলায় প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার অংশ হিসেবেই নতুন এ হত্যাকাণ্ড।
অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যায় শোক জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসিডর পিয়ের মাইয়োডন এক শোক বার্তায় জানান, মনের ভাব প্রকাশ প্রতিটি মানুষের অধিকার।
বুধবার রাত ৯টার দিকে বাসায় ফেরার পথে সূত্রাপুরের একরামপুরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন বিভাগের ছাত্র ২৭ বছর বয়সী নাজিমকে।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন নাজিম। ফেসবুক পাতায় তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন।
৭ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম