নিউজ ডেস্ক : জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, অবৈধ ও গণবিরোধী সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে সকল সেক্টর ধ্বংসের পর আবারো গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমেছে। তারপরও এ দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে সরকারের দুর্নীতির ব্যপ্তি আরও বৃদ্ধি করার জন্য। দাম বাড়ালে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে জনগণকে অতুল গহ্বরে ঠেলে দেয়া হবে। মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে এবং ভয়াবহ দুর্যোগে পড়বে।
তিনি বলেন, রাজকোষ থেকে জনগণের শত শত কোটি টাকা চুরি হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাংকগুলো লোপাট, শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ-কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশের সম্পদের বিরাট অংশ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা দেশের অর্থনীতিকে কাফন পরিয়ে দিয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গুম অপহরণ লাশের মিছিলে যেখানে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে নতুন করে দাম বাড়ালে দেশ দুর্যোগে পড়বে। দেশের অর্থনীতির বিশাল অংশ বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে দাফন করা হচ্ছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশ র্যাব হত্যা বিলাশী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে গণতান্ত্রিক অধিকার পুলিশের কাছে বিলীন করে দিয়েছে। গণমাধ্যম প্রচণ্ড হুমকির মধ্যে রয়েছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তীলে তীলে নিঃশেষ করার চেষ্টা করছে সরকার।
বাঁশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, পুলিশ নিজেই দায় নিয়েছে। জনগণ মানে যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডার। আর তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ।
০৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস