নিউজ ডেস্ক : ‘বৈশাখ আইছে, দাম যা–ই হোক, পাবলিকে স্যার ইলিশ কিনবই। দেহেন না, ইলিশের লাইগ্যা ঠেলায় পড়ছে। কারে কোনডা দিমু কইয়্যা ফালান। বড় ইলিশ দুইটার কথা জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর মাছ বিক্রেতা সাত্তার বলেন, এই দুইড্যা স্যারে কইয়া গেছে। কোন স্যার জানতে চাইলে বলেন, হেইডা কওন যাইব না।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সকাল বাজারে ওঠা দুটো ইলিশের দাম জানা গেল ২০ হাজার টাকা। কমবেশিও আছে। তবে দেশে বেশি টাকা দিয়ে ইলিশ কেনা মানুষের অভাব নেই।
আজ শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর মাছের আড়তের ইলিশের বাজারে যেন দম ফালানোর জায়গা নেই। কম দামে ইলিশ কিনতে এসেছেন তারা, কিন্তু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। সরকারি চাকরিজীবীদের বৈশাখী বোনাসের কথা আগেভাগেই জানতে পেরে খুঁট্টি মেরে বসেছেন বিক্রেতারা।
বড়সড় ইলিশের চাহিদা বেশি। দামে আকাশছোঁয়া। দুটি রুপালি ইলিশের দাম শুনে চমকে গেলেন সবাই। কিন্তু আগেভাগেই কিনে ফেলেছেন এক স্যার। দাম মাত্র ২০ হাজার টাকা! চমকে গেলেন? ঘটনাই তাই। সিঙ্গেল নিলে ১০ হাজার ২০০ টাকা আর জোড়া নিলে ২০ হাজার টাকা!
ইলিশ বিক্রেতা সাত্তার জানান, বেশি দামের ইলিশ গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ইলিশ তিনি কিনে এনেছেন মাওয়া ও চাঁদপুর থেকে। বৈশাখ ছাড়া অন্য সময় এ ধরনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হতো ৮ হাজার টাকায়। এখন দামটা একটু বেশি। পান্তার সাথে ইলিশ না হলে তো জমে না- তাই দামটা একটু বেশি।
স্যারদের সম্পর্কে জানতে চাইলে অট্টহাসি দিয়ে সাত্তার বলেন, ‘হেইডা কওন যাইব না। এখন আগেভাগেই কিন্যা লইয়া যায়। ফ্রিজে রাখা তো হেগো অনেক সুবিধা। পাবলিকে চালাক। আগে মাছ কিনে ফ্রিজে রাখে। এমন কারবার এক মাস আগে থাইক্যাই চলতাছে।
শুধু যাত্রাবাড়ীতেই মূল্য চড়া নয়, প্রায় দিন দশেক আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ইলিশের বাজারে আগুন। সাধারণ লোকজনের পক্ষে ইলিশ কেনা ভাগ্যের ব্যাপার।
৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম