শনিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:৪৯:২৯

নাজিম হত্যার নকশা বাস্তবায়ন ৫৯ দিনে!

নাজিম হত্যার নকশা বাস্তবায়ন ৫৯ দিনে!

এস এম আজাদ : খুন হওয়ার মাত্র ৫৯ দিন আগে ঢাকায় এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নাজিমুদ্দিন সামাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেছেন মাত্র এক মাস। এরই মধ্যে সিলেটের পরিচিত একজনকে দিয়ে ‘নিরাপদ’ বাসা খুঁজে নেন তিনি।

ঢাকায় এসেই নাজিম ও তার সহপাঠী সোহেল লেখাপড়ায় ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আসন্ন বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্তির পরীক্ষা ও সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। অল্প দিনের সন্ধ্যাকালীন ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠেনি তাদের। দুই-চারজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে মাত্র। নাজিম ও সোহেলের বাসার ঠিকানা জানত না তাদের স্বজনরা। সন্ধ্যায় ক্লাস শেষে তাদের বাসায় ফেরার পথটিও ছিল নতুন।

ওই পথের যে স্থানে হত্যা করা হয়, সেটি ব্যস্ত তিন রাস্তার মোড়। তবে বাসা থেকে ক্যাম্পাসের প্রায় দেড় কিলোমিটার পথের মধ্যে ওই স্থানটিই হত্যাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ‘নিরাপদ’ ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একরামপুরের ওই মোড় থেকে গলিপথে সূত্রাপুরের প্রধান সড়কে উঠে পালিয়ে গেছে খুনিরা। অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে নাজিমের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরের মধ্যে খুনি গ্রেপ্তার না হলে রবিবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জঙ্গি তত্পরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। গতকাল রাতে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দায় স্বীকারের এই বার্তা প্রকাশ করা হয় বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

তদন্ত ও ছায়া তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আলামত দেখে বোঝা যায় যে নাজিমকে ঢাকায় আসার পর থেকেই অনুসরণ করছিল খুনিরা। ধারণা করা হচ্ছে, খুনিদের লোক নাজিমের বিশ্ববিদ্যালয় বা বাসায় তার কাছাকাছি ছিল। তাকে পুরোপুরি নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়। গত বৃহস্পতিবার সিলেটে নিজ বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল নাজিমের। আগের দিনই তাকে হত্যা করা হয়।

তবে পুরান ঢাকায় সরু গলিতে তুলনামূলক নিরাপদ জায়গায় বাসা হওয়ায় তাকে সেখানে হত্যা করা হয়নি। সূত্র মতে, খুনিরা যেদিকে চলে গিয়ে থাকতে পারে সেদিকে যাত্রাবাড়ী ও মীরহাজীরবাগ এলাকা। ওই এলাকায় শিবিরের বেশ কিছু মেস আছে। ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল যাত্রাবাড়ীতে। এ ছাড়া এলাকাটিতে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) গোপন আস্তানা রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।

জানা গেছে, রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার রজনী চৌধুরী রোডের ২৯/গ নম্বর বাড়ির ছয় তলায় নাজিম ও সোহেলকে সাবলেট হিসেবে বাসা ঠিক করে দিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল গফফার। তিনি বর্তমানে সিলেটে। এর বেশি কোনো তথ্য জানা যায়নি। গতকাল তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। গফফার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন এক ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে। ফেরদৌস রহমান নামের ওই ভাড়াটিয়া একই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকেন। তিনি ইসলামী ব্যাংকের চানখাঁরপুল শাখার কর্মকর্তা। ফেরদৌসসহ বাড়ির বাসিন্দারা বলছে, নির্বিঘ্নে বাসায় লেখাপড়া করতে চাইতেন নাজিম। এ ছাড়া তারা আর কিছুই জানে না।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নাজিমের অতীত কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে রহস্য উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, নাজিমের ব্যক্তিজীবনে কোনো শত্রু ছিল না। ফেসবুকে লেখালেখির কারণে উগ্রপন্থী পক্ষ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।

গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ঋষিকেশ লেন (একরামপুর) মোড়ে মাথায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদকে। তিনি সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লিখেছেন।

নাজিম বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিলেট জেলার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি ফেসবুকে সরকারি দলেরও সমালোচনা করতেন। এর আগে ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিল থাকায় নাজিমকেও কোনো উগ্রপন্থীচক্র খুন করেছে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এবিটি, জেএমবি, জামায়াত-শিবির বা তৃতীয় কোনো পক্ষ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

এ ঘটনায় নাজিমের স্বজনরা হত্যা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে সূত্রাপুর থানার এসআই নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছে। এই মামলায় নাম-পরিচয় না জানা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। থানা পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাবের গোয়েন্দারা ছায়া তদন্ত শুরু করেছেন।

জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) মাহবুব আলম গতকাল বলেন, ‘আমরা ছায়া তদন্ত করছি। এই ঘটনাটি ব্লগারদের খুনের মতোই। এখানে কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে মিল আছে। তাই নাজিমের আগের সব বিষয় পর্যালোচনা শুরু করেছি আমরা। সম্ভাব্য সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সূত্রাপূর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘এখনো কিছুই জানা যায়নি। তবে আলামত দেখে বোঝা যাচ্ছে, আগে থেকেই অনুসরণ করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে কারা হত্যা করতে পারে এটাই প্রথম বিষয়। মাত্র দুই মাস আগে ঢাকায় এসেছেন নাজিম। এখনো পথঘাট চেনেননি। তাকে এখানকার কেউ এভাবে কেন মারবে? সংশ্লিষ্ট সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা আমাদের বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি। আমরা সোহেলের (প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু) সঙ্গে কথা বলেছি। সেও খুনিদের চিনতে পারেনি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে লক্ষ্মীবাজার হয়ে ঋষিকেশ লেনের একরামপুর মোড়ের পর উত্তর ও দক্ষিণে রাস্তা। ওই রাস্তার দুই পাশে রাতে পুলিশের দুটি চেকপোস্ট থাকে। নাজিম ও সোহেল লোহারপুল, এস কে দাস রোড হয়ে রজনী চৌধুরী রোডের বাসায় যান। এই পথে চেকপোস্ট, যানজট এবং সরু রাস্তায় লোকজনের ভিড় থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খুনিরা মোড় থেকে একটু দক্ষিণে গিয়ে গলি দিয়ে সূত্রাপুরের প্রধান সড়ক হয়ে গেণ্ডারিয়ার দিকে যায়। ওই পথে যাত্রাবাড়ী ও মিরহাজীরবাগ হয়ে জুরাইন যাওয়া যায়।

এক তদন্তকারী বলেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় এবিটি ও জেএমবির গোপন আস্তানা থাকার তথ্য আছে। ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যার পরিকল্পনা হয় ওই এলাকায়। সেখানে শিবিরের বেশ কিছু মেসও আছে। সহজে পালিয়ে যাওয়ার পর উগ্রপন্থী খুনিরা ‘শেল্টার’ পেয়েছে বলে ধারণা করছেন ওই তদন্তকারী।

গতকাল গেণ্ডারিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, রজনী চৌধুরী রোডের ২৯/গ ছয় তলা বাড়িসহ চারটি বাড়ির একটি গেট। সেখানে থাকা দুই দারোয়ানের একজন আবদুল কাদের বলেন, ‘নাজিম আর সোহেল দুই মাস আগে আসছে। তাদের কাছে কেউ আসেনি। তারা সময় মতো বাসায় ফিরত। এখানে খুবই নিরিবিলি পরিবেশ।’ ছয় তলায় নাজিমের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, দরজায় এক পাশে তালা ঝুলছে। পাশের বাসার ভাড়াটিয়া শফিক বলেন, ‘এই বাসায় কয়েকজন ব্যাচেলর থাকত। আমাদের সঙ্গে তাদের পরিচয় নেই। একজন মারা গেছে শুনেছি। তবে কিভাবে তা জানি না।’

বাড়ির মালিক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘পুরো বাড়িটিতে পরিবার থাকলেও ছয় তলার এক পাশে ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয়। ফেরদৌস রহমান নামের ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা প্রথমে বাসা ভাড়া নেন। তিনি পরে কয়েকজন রুমমেট ওঠান। তারা সবাই চাকরিজীবী। দুই মাস আগে নাজিম ও সোহেলকে ওঠান ফেরদৌস এবং তিনি স্ত্রীকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় চলে আসেন। সেখানে আরো দুজন কর্মজীবী থাকেন পরিবারসহ।’

মহিউদ্দিন খান জানান, ফেরদৌসের বাড়ি সাতক্ষীরায়। ওপরের বাসায় নাজিমদের সঙ্গে থাকতেন নাটোরের ওমর ফারুক ও দোহারের নাজমুল। ফারুক স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজে এবং নাজমুল জেনারেল ফার্মার বিপণন কর্মকর্তা। এই দুজন দিনে কর্মস্থলে থাকেন। বুধবার নাজিম খুন হওয়ার পর সোহেল আর বাসায় ফেরেননি। বৃহস্পতিবার তার এক আত্মীয় এসে কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছে।

ওমর ফারুক মোবাইল ফোনে বলেন, ‘নাজিম ও সোহেল ওদের ঘরে থাকত। তাদের ব্যাপারে আমি বেশি কিছু জানতাম না। ফেরদৌস ভাই তুলছেন। তিনি জানেন।’ ফেরদৌস রহমান বলেন, তিনি চানখাঁরপুল শাখা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিন বছর ধরে তিনি ওই বাসায় থাকেন এবং ভাড়াটিয়া তোলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে লেখাপড়া করে ইসলামী ব্যাংকে চাকরি নিয়েছেন। ফেরদৌস অবশ্য দাবি করেন, তার বাড়ি মাগুরায়। তার ভাষ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মহল্লার রাস্তায় রুমমেট নেওয়া হবে বলে ‘টু-লেট’ দেন তিনি।

এরপর আবদুল গফফার নামে একজন নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, দুজন থাকবেন। তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি করবেন। তাদের বাড়ি সিলেট। নিরিবিলি ও নিরাপদ শুনে ভাড়া নিতে রাজি হন। ফেরদৌস এক দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গফফারের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে আসেন। তখনো ঢাকায় আসেননি নাজিম ও সোহেল। তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই বাসায় ওঠেন।

ফেরদৌস আরো বলেন, ‘গফফারের বাড়িও সিলেটে। হয়তো আগে থেকে তাদের পরিচয় ছিল। তাই বাসা ভাড়া নিতে বলেছে। তবে শুনেছি পরীক্ষা দিয়ে গফফার সিলেট চলে গেছে।’ ফেরদৌসের কাছে গফফারের মোবাইল ফোন নম্বরও পাওয়া গেছে। তবে ওই নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে সোহেলের এক আত্মীয় জানান, রাজধানীর মিরপুরে এক আত্মীয়র বাসায় সোহেলকে রাখা হয়েছে। সে এখনো আতঙ্কের মধ্যে আছে। তিনি আরো বলেন, গফফার তাদের পরিচিত। তবে গফফার কোথায় এবং কিভাবে বাসা ঠিক করে দিয়েছে তা সোহেলের স্বজনরা জানত না। শুধু জানত গেণ্ডারিয়ায় বাসা এবং দুই হাজার টাকা ভাড়া। জানতে চাইলে সোহেলের ওই আত্মীয় বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বা বাসায় ওদের আর কেউ ঘনিষ্ঠ হয়েছে বলে শুনিনি।’

নাজিমের এক সহপাঠী বলেন, ‘আমরা ক্লাস করেছি মাত্র এক মাস। এ সময়ে আমাদের দুই-একজনের সঙ্গে নাজিমের ভালো সম্পর্ক হয়েছে। অনেকের সঙ্গে ওর পরিচয়ই হয়নি। সে একটু গুটিয়ে চলাফেরা করত। সোহেলকে ছাড়া একা কোথাও যেতে দেখিনি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভর্তির ফরম ও ব্যাংক ড্রাফট জমা দেন নাজিম। ওই ফরমে নাজিমের স্থায়ী ঠিকানা থাকলেও বর্তমান ঠিকানা লেখা নেই।

দায় স্বীকার! : গতকাল রাতে রয়টার্সের খবরে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার আল-ইসলাম বলেছে, ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ ফেসবুকে আল্লাহ, নবী মুহাম্মদ ও ইসলামকে অবমাননা করায় ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে তাদের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে।’

রয়টার্স বলছে, তারা তাৎক্ষণিক এই বার্তার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এর আগে ব্লগার, বিদেশি নাগরিক ও লেখক হত্যার পরও একইভাবে দায় স্বীকারের তথ্য দেয় সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। তবে বাংলাদেশের সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাইট এবং তাদের খবরের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বারবার।

সিলেটে দাফন : আমাদের সিলেট অফিস জানায়, গতকাল সকাল ১১টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের টুকা ভরাউট গ্রামের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নাজিমের লাশ। নাজিমের মামাতো ভাই ছাদেক আজাদ জানান, গতকাল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নাজিমের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। - কালেরকণ্ঠ
৯ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে