রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৪৬:২১

বিকাশ ফাঁদে পড়ে ৩৬ হাজার টাকা খোয়ালেন ঢাবি ছাত্রী!

বিকাশ ফাঁদে পড়ে ৩৬ হাজার টাকা খোয়ালেন ঢাবি ছাত্রী!

নিউজ ডেস্ক : অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আগের সেই দিন এখন নেই। আগের দিনে মানুষ টাকা পাঠালে ৩-৪ দিন লেগে যেতো টাকা পৌঁছাতে। কিন্তু বর্তমানে ৩-৪ মিনিটও লাগে না দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠাতে।

তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে ওঠছে বিশ্ব। সময়ের সাথে সাথে তাই মানুষও এখন হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এখন চলছে বেশি লেনা-দেনা। এই তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে মাথাচড়া দিয়ে ওঠেছে প্রতারক চক্রও। অনলাইনেও বিস্তার করেছে প্রতারণার ফাঁদ আর সেই ফাঁদে ফেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।

এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম রোমেনা আক্তার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বেলা ১টার দিকে তার মোবাইলে বিকাশ থেকে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল- ক্যাশ ইন ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ফ্রম ০১৯৬১১১৬৮৬৬ সাকসেসফুল। পরে ০১৮২৮২৪৬২৬৯ নম্বর থেকে কান্না করে একজন বলেন- তার নম্বরে অন্য এক নারীর ২৪ হাজার ৫০০ টাকা চলে গেছে। এরপর টাকা ফেরত পাঠাতে তাকে অন্য একটি নম্বর দেওয়া হয়।

০১৮৪৮০৫৪২৮১ এই নম্বরটি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে  টাকা পাঠানোর নিয়ম বলা হয় এবং বিকাশ করার জন্য ০১৭৬৫০৩৩৯৫৮ এবং ০১৯৬১১১৬৮৬৬ নম্বর দুটি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রতারকচক্র কৌশলে তার বিকাশ নম্বর থেকে ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় জিডি করে করেন ওই শিক্ষার্থী (জিডি নম্বর ৪৯১)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

কিছুদিন আগেও এমন একটি তথ্য পাওয়া যায় আমাদের খুলনা প্রতিনিধির এক স্বজনের কাছ থেকে। তিনি পেশায় একজন প্রেস ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকেও একই কৌশলে টাকা হাতিয়েছে প্রতারক চক্র। তিনি জানান, প্রথমে তার বিকাশ একাউন্টে মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল- ক্যাশ ইন ৪ হাজার টাকা সাকসেসফুল। পরে এক ভদ্রলোক তাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে বলে তার রুগী মেডিকেলে মৃত্যুশয্যায়, ভূল করে তাকে টাকা দিয়ে ফেলেছে।

খুলনার ব্যবসায়ী ভদ্রলোক একথা শোনার সাথে সাথে নিজের একাউন্ট চেক না করেই ৪ হাজার টাকা ফেরত দেন, কিন্তু পরে একাউন্ট চেক করতে গিয়ে দেখেন তার একাউন্ট থেকে ৪ হাজার টাকা উধাও। এবং তার বিকাশ একাউন্টে কোন টাকায় জমা হয়নি। পরে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ওই ম্যাসেজটি ছিল সাধারণ মোবাইল মেসেজ ওটি বিকাশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নয়।

কিন্তু এতো সবের পরও কথা থেকে যায় একটি, বিকাশ একাউন্টে কত টাকা রয়েছে তা কিভাবে জানতে পারে প্রতারক চক্র। অনেক ভূক্তভোগীরা জানান, সাধারণত সেসব স্থান থেকে বিকাশ করা হয়, ওই সব দোকানীরা অথবা দোকানীদের আসে পাশের মানুষ এই তথ্য প্রতারক চক্রকে দিতে পারে।
১০ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে