কে হচ্ছেন জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব?

নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের আগামীকাল (১২ এপ্রিল) থেকে ভাইভা শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার এ তিন দিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রার্থীরা সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হবেন।

জাতিসংঘের ৭০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম মহাসচিব হতে আগ্রহী প্রার্থীদের সংস্থার ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সামনে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হচ্ছে। আরও একটি নতুন চমক হল- এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের মহাসচিব পদে নারী প্রার্থীরা লড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। খবর এএফপির।

১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচিত করতো কেবল নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া, যা ‘ক্লোজডোর’ প্রক্রিয়ার মতোই গোপনীয়তার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো। এ প্রক্রিয়া নিয়ে বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা হয়েছে। এবার মহাসচিব নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অধিক স্বচ্ছতা আনার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো মহাসচিব পদের প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা পাল্টে দিয়েছে জাতিসংঘের ভাবমূর্তি- এমনটাই বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। গত সেপ্টেম্বরে মহাসচিব পদে নিয়োগ পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনার পক্ষে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হয়। অধিকাংশ রাষ্ট্রের সম্মতিতে নতুন এ প্রক্রিয়ায় মহাসচিব পদের প্রার্থীদের আবেদন ও জীবন বৃত্তান্ত জমা দিতে হবে। পরে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সামনে বক্তব্য পেশ করতে হবে।

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে হবেন মুনের উত্তরসূরি। ঐতিহ্য অনুসারে আঞ্চলিক আবর্তন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে, পরবর্তী মহাসচিব পূর্ব ইউরোপ থেকে আসার কথা। এদিকে, এবারের মহাসচিব নির্বাচনের ক্ষেত্রে রয়েছে আরেক চমক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এবারই প্রথম নারী প্রার্থীরা মহাসচিব পদের জন্য লড়াই করার সুযোগ পাচ্ছেন। মহাসচিব নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় তোড়জোড় শুরু হলেই গুজব উঠেছিল এবার কোনো নারী মহাসচিব হচ্ছেন জাতিসংঘের।

জাতিসংঘ মহাসচিব প্রার্থিতার লড়াইয়ে আটজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন নারী (বোকোভা, পুসিক, ঘেরম্যান ও হেলেন)। তারা হলেন, ইউনেস্কোর বর্তমান মহাপরিচালক বুলগেরিয়ার ইরিনা বোকোভা, ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেসনা পুসিক, মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাটালিয়া ঘেরম্যান ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক।

অন্য চার পুরুষ প্রার্থী হলেন পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থার সাবেক হাইকমিশনার অ্যান্টনিও গুতেরেস, মন্টিনিগ্রোর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইগর লুকসিক, স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড্যানিলো তুর্ক এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬২তম অধিবেশনের সাবেক সভাপতি মেসেডোনিয়ার সার্গজান কেরিম।  -যুগান্তর
১১ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস