নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন নিয়ে রীতি মতো টানাটানি শুরু করেছে ভারত-চীন। গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে চীন আগ্রহ প্রকাশ করার পর এবার ভারতও একই কথা জানিয়েছে। এমনকি উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছেন।
এ লক্ষে শীর্ষ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে জানালেন ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক ও জাহাজ পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের মাটিতে একটা গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য আমরা সুযোগের অপেক্ষায় আছি এবং আমরা চাই এই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাক। এই লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সেদেশে পাঠানো হবে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তীতে বন্দর তৈরির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পাশাপাশি বিনিয়োগের প্রস্তাবটিও চূড়ান্ত করা হবে’।
গড়করি আরও জানান ‘গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের বিষয়ে ইতিমধ্যেই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের কর্মকর্তারা প্রাথমিক কথাবার্তা সেরেছেন। জাহাজ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফর করবে। সেখানে গিয়ে বন্দর নির্মাণের জায়গাটি (সাইট) সরেজমিনে দেখার পাশাপাশি ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করবে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে বিনিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে’।
বাংলাদেশের পটুয়াখালিতে ভারতীয় উদ্যোগে প্রস্তাবিত এই পায়রা বন্দর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা মাইলস্টোন হবে বলেও মন্তব্য করেন গড়করি।
২০১৫ সালের মে মাসে ঢাকা সফরে আসেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত চাই জিঙ। তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে পুনরায় আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। চীনের বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীন আগ্রহী।
১২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস