হাবিবুর রহমান ইরান, ঢাকা : তুমি কি জান আজ কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ? তুমি কি জান কতদূর সাম্যর গান গাইছি মোরা।
নেই তুমি নেই। তুমি আর নেই। তোমাকে স্মরণ করছে কোটি কোটি মানুষ। তোমার মত সাহসী মানুষকে খুঁজছে বাংলাদেশের মানুষ।
‘কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল করলে লপাট’বলার মত মানুষ আজ আর নেই। আজ তোমাকেই বড় প্রয়োজন।
কথাগুলো বলছিলাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে। বৈশাখ সমাগত। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা মহলে নানা মত।
কি হবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি। কোনটি অপসংস্কৃতি আর কোনটি ভালো সংস্কৃতি। কোনটি আমাদের কোনটি আমাদের নয়।
কোনটি ধরে রাখব আর কোনটি ছেড়ে দেব। ভুলবশত কোন অপ কালচার দেশের মাটিতে উড়ে আসলে কি করব।
এ নিয়ে দ্বিধায় বাংলাদেশের মানুষ। নতুন এক কাজী নজরুলকে আজ বড় প্রয়োজন। যিনি হবেন সাম্যর কবি, প্রেমের কবি, মাটির কবি ও মানুষের কবি।
কোথায় আজ মানুষের কবি। কবি পাওয়া গেলেও পাওয়া যায় দলীয় কবি। বিভিন্ন দলের গুণকীর্তন করার জন্য কবির অভাব হয় না। কিন্তু কোথায় সাম্যর কবি, সবার কবি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। ফুলবাগানে হাঁটছেন তিনি। কবিকে উদ্দেশ করে বলতে ইচ্ছে হয় আয়, লুঙ্গি পড়ে কবর থেকে বাংলার জমিনে আয়।
আমরা বড়ই অসহায়। এখনো ফিরে আসেনি সাম্য। এখনো ফিরে আসেনি বন্ধন। এখনো ফিরে আসেনি মানুষে মানুষে মৈত্রী।
আমারও বলতে ইচ্ছে হয়- ভুলে যাই জাতিবেদ ভুলে যাই লাজ
ভুলে যাই দলাদলী কাঁধে রাখি কাঁধ
মোরা বাংলার মোরা বাংলার
বাংলার কৃষ্টি চলবে, আঙ্গুলি দিয়ে দিই হুঙ্কার।
ধর্মই দুনিয়া, ধর্মই আখিরাত, ধর্মই সব
নত করি শির, নত হোক যতসব মত
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কাজী নজরুল ইসলাম জেল খেটেছেন। সবারপ্রিয় এ কবিও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
অসংখ্য কবিতা তিনি কারাগারে বসে লিখেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে ঠিকই। স্বাধীনতার সুফল ঘরে আসেনি খেটে খাওয়া মানুষের।
স্বাধীনতার সুফল ধর্ম-বর্ণ, দলবেধ নির্বিশেষে উপভোগ করার জন্য এই মহান কবিকে আবারও ডাকছি বাংলাদেশের মাটিতে।
খোদা কি কবুল করবেন এ আর্জি? মহান আল্লাহই সেটি ভালো জানেন। তবে আসুন আমরা জেগে উঠি দলমত, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের চেতনায়। (লেখক, হাবিবুর রহমান ইরান, সাংবাদিক ও তরুণ লেখক)
১৩ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর