বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:২৮:১৯

সারা বাংলায় ভূমিকম্প: জেনে নিন, কোন জেলার কেমন অবস্থা?

সারা বাংলায় ভূমিকম্প: জেনে নিন, কোন জেলার কেমন অবস্থা?

ঢাকা: বুধাবর সন্ধ্যা, ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিট হবে। আকস্মিক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো রাজধানীসহ সারা দেশ। আবারো অনুভূত হলো ৭ দশমিক ১ মাত্রার তীব্র ভূ-কম্পন। মিয়ানমারে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ঢাকা থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত- মিয়ানমার সীমান্তে ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১২০ কিলোমিটার। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে কর্মজীবী মানুষ ছিল একান্তই ব্যস্ত।
কেউ হয়তো দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরছিল, কেউ হয়তো একটু আগেই বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা অন্য কোনো প্রয়োজনে ঘর ছেড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝাকুনিতে সব কিছুই যেন তারা উলোট-পালট হয়ে গেলো। অফিস ও বাসা-বাড়ির লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। অনেককে স্বজনদের কাছে ফোন করতেও দেখা গেছে।

এদিকে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময় বিভিন্ন বাড়িতে ও ভবনে থাকা লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে।

খুলনা থেকে প্রতিনিধি জানান, খুলনায় হঠাৎ চেয়ার-টেবিল-ফ্যানসহ পুরো ভবন কেঁপে উঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দু’বার ঝাঁকুনি দেয়। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি টের পেয়েই খুলনার অধিকাংশ ভবনের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। সবার মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক আতংক। কিছু সময়ের মধ্যেই সড়কের সকল যানবাহনও দাঁড়িয়ে পড়ে।

এমনকি খুলনার শান্তিধাম মোড়স্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীরাও ভয়ে বের হয়ে আসেন। তবে ভূমিকম্পে নগর বা জেলার কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।


রাজধানীর রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ভূ-কম্পনের সময় নগরীর শেরে বাংলা রোড দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মোটর সাইকেল দুলতে থাকে। এতে প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে যান। পরক্ষণেই ভূমিকম্প বুঝতে পেরে নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে পড়েন।  এ ছাড়া নগরীর শান্তিধাম, কাকলিবাগ, টুটপাড়া ও ফুল মার্কেট এলাকায় দেখা যায়, ভূ-কম্পনের আতংকে এলাকার বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছে। বিশেষ করে নারী-পুরুষ ও শিশুরা বেশি আতংকিত হয়ে পড়েন।


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।শহররে নবীনবাগরে স্কুলছাত্র জান্নাতুল ফরেদৌস রাতুল বলেন, ‘আমি ঘরের মধ্যে খাটে বসে বই পড়ছিলাম। হঠাৎ করে খাট লাফালাফি শুরু কর।  আমি ভয়ে বাইরে বের হয়ে যাই।’

ভূ-কম্পন নিয়ে কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, ভূমিকম্পে কক্সবাজার শহরের বড় বড় দালানগুলোর বাসিন্দারা আতংকে বের হয়ে আসে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
১৩ এপ্রিল,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে