বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:১৭:১৭

আবারো আঘাত হানতে পারে ভয়াবহ ভূমিকম্প

আবারো আঘাত হানতে পারে ভয়াবহ ভূমিকম্প

ঢাকা : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারো আঘাত হানতে পারে ভয়াবহ ভূমিকম্প।  আজকের রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।  যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২।

নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানেও অনূভূত হয় এই ভূমিকম্প।  বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।  তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।  ভূমিকম্পে নেপাল ও ভারতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে এর মাত্রা ছিল ৭.২। বাংলাদেশ থেকে ৪২০ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের মাওলাইকে এর উৎপত্তিস্থল।
 
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থামার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মিয়ানমারের মাওলাই জেলার ৭৪ কিলিমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এ ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল।  

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়া-ইউরোশিয়া প্লেটের ঘর্ষণে এ ভূমিকম্প উৎপন্ন হয়।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

স্থানটি বাংলাদেশ-ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন।রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৯।  এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে।

গত সপ্তাহেও বাংলাদেশে একবার ভূমিকম্প অনূভূত হয়।  ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি মৃদু হলেও আজকেরটি ছিল শক্তিশালী।  চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।  ঘন ঘন এমন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের অশনি সঙ্কেত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
 
ভূ-তাত্ত্বিকরা বলছেন, ‘ইন্দো-বার্মা-হিমালয়ান, ইউরেশীয় একাধিক ভূ-ফাটল লাইনের বিস্তার ও অব্যাহত সঞ্চালনের কারণে বাংলাদেশ ও আশপাশ অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূকম্পন বলয় হিসেবে চিহ্নিত।

উপর্যুপরি মৃদু, হালকা, মাঝারি মাত্রার ভূকম্পনের কারণে এ অঞ্চলের ভূ-ফাটল লাইনগুলো নাজুক ও শিথিল হয়ে পড়ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী ভূমিকম্পের আলামত বহন করছে।  বিগত দু’বছরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এবং এর সংলগ্ন ভারত-মিয়ানমার অঞ্চল জুড়ে প্রায় অর্ধশত মৃদু, হালকা, মাঝারি ও শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
১৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে